আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বিরাট সাফল্য পেল ভারত। ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ‘বারাক-৮’ এর সফল উৎক্ষেপণ হল ভারতীয় নৌসেনার জাহাজ আইএনএস কলকাতা থেকে। নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে বারাক-৮। জানিয়েছেন নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপটেন ডি কে শর্মা।
ভূমি-থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র মূলত আকাশসীমা প্রতিরক্ষার জন্যই ব্যবহৃত হয়। ‘আকাশ’ নামে এই গোত্রের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারত আগেই তৈরি করেছে। কিন্তু ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই বারাক-৮ আরও শক্তিশালী। বারাক-৮-কে একটি পুরোদস্তুর হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবেই গড়ে তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে নৌসেনার ডেস্ট্রয়ার আইএনএস কলকাতা থেকে বারাক-৮-এর টেস্টফায়ার হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটির নিখুঁত আঘাত দেখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক উচ্ছ্বসিত। বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রের রেডার অত্যন্ত শক্তিশালী। ৩৬০ ডিগ্রি কভারেজে সক্ষম এই রেডার যে কোনও দিক থেকে ধেয়ে আসা বিপদের আগাম আভাস দিতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ব্যবস্থায় জটিলতাও অনেক কম। ফলে বিপদের আভাস পেলে দ্রুত হামলা চালানো যাবে। বোমারু হেলিকপ্টার, ফাইটার জেট, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল, জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল— সব ধরনের আঘাতের চেষ্টাকেই বারাক-৮ মাঝ আকাশে রুখে দিতে পারবে। জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:
এস-৩০০ মিসাইল কোথায় মোতায়েন করল ভারত? চিন্তায় পাকিস্তান
যুদ্ধজাহাজ থেকে একে যেমন ব্যবহার করা যাবে, তেমনই কাজে লাগানো যাবে স্থলভাগেও। প্রতিপক্ষের হামলা ভারতীয় স্থলভাগে বা যুদ্ধজাহাজ পর্যন্ত পৌঁছনোর ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার আগেই তাকে খতম করতে সক্ষম বারাক-৮। যদি কখনও হামলার আভাস পেতে দেরিও হয়, তা হলেও সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত বারাক-৮। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রতিপক্ষের মিসাইল ভারতীয় ডেষ্ট্রয়ারের ৫০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার পরও বারাক-৮ হেনে তাকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়।
ইজরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী বারাক-৮ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন আগেই করেছে। ভারতীয় নৌসেনা এই প্রথম তার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করল।