ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় সাত বছর পরে ভারতের মাটিতে পা দিচ্ছেন কোনও পাক বিদেশমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার থেকে গোয়ায় শুরু হওয়া শাংহাই কোঅপারেশন অর্গ্যানাইজ়েশন (এসসিও)-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন বিলাবল জ়ারদারি ভুট্টো। ভারত-পাকিস্তান জটিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সত্ত্বেও আগে পাকিস্তানের কোনও নেতা-মন্ত্রী এলে আশার একটা ফানুস তৈরি হত। তার ছিটেফোঁটাও এ বার নেই। বিলাবলের সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠকের কথাও ভাবছে না ভারত।
তবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কথা হবে এসসিও-র আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য— চিন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে। সম্মেলনের প্রথম দিনই এই দু’টি পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ শুক্রবার, সম্মেলনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালে হার্ট অব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন নওয়াজ় শরিফ সরকারের বিদেশমন্ত্রী সরতাজ় আজ়িজ়।
বিলাবলের সঙ্গে বৈঠক না হলেও চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে জয়শঙ্করের আসন্ন সংলাপকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। দু’মাস আগেই জি২০-র পার্শ্ববৈঠকে নয়াদিল্লিতে গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সম্পর্কের অস্বাভাবিকতা নিয়ে গত দু’মাসে বারবার বেজিংকে বার্তা দিয়েছে দিল্লি। ক্যারিবিয়ন দ্বীপরাষ্ট্র এবং আফ্রিকার সফরের সময়েও নয়াদিল্লিকে দেখা গিয়েছে চিন প্রসঙ্গে সমালোচনার তির ছুড়তে। সম্প্রতি এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও রাজনাথ বেজিংকে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, সীমান্ত সমস্যা না মিটলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার ২০২০-র জুনের রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। প্যাংগং হ্রদের উত্তর প্রান্ত, দেপসাং উপত্যকা-সহ কয়েকটি এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে আসা চিনা ফৌজ এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দফায় দফায় দু’দেশের সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকও চলছে। তারই মধ্যে গত বছর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে টহলদার ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালিয়েছে চিনা ফৌজ। টানাপড়েনের এই আবহে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে জয়শঙ্করের।