পিএম মোদীজি মেরে পরিবার কি মদত করো পূজা কুমারী (সুইসাইড নোটে)
রিও অলিম্পিক্সে মেয়েদের জয়জয়কার নিয়ে যখন দেশ জুড়ে হইচই, তখনই পঞ্জাবের পাটিয়ালায় জাতীয় স্তরে পূজা কুমারী নামে এক মহিলা হ্যান্ডবল খেলোয়াড়ের আত্মহত্যায় বাগ্রুদ্ধ তাঁর পরিবার। ক্রীড়ামোদীদের একাংশের মতে, এ দেশে সাফল্য পাওয়ার পরে শিরোনামে আসছেন অনেক মেয়েই। কিন্তু তার আগে কতটা যুঝতে হচ্ছে তাঁদের, তার প্রমাণ বোধহয় জীবন দিয়ে জানিয়ে গেলেন পূজা।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর কুড়ির দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী খালসা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনামূল্যে হস্টেলে থাকার সুবিধা না পাওয়ায় আত্মঘাতী হয়েছেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। গত শনিবার সকালে পূজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তাঁর বাবা-মা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে রক্ত দিয়ে চার পাতার সুইসাইড নোটও লিখে যান ওই ছাত্রী। জানান, দারিদ্রের জন্যই এই পথ বেছে নিতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ কলেজের হস্টেলে থাকার মতো টাকা তিনি জোগাড় করতে পারেননি। তাঁর মতো আর্থিক ভাবে দুর্বলদের বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন পূজা।
পুলিশের বক্তব্য, খালসা কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের প্রধান গুরশরণ সিংহ গিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। এ বার কলেজের হ্যান্ডবল, কবাডি ও হকি খেলোয়াড়রা মেডেল না জেতায় গুরশরণ তাঁদের হেনস্থা করছিলেন বলে অভিযোগ পূজার। ওই প্রধান অনেককেই হস্টেলে ঘর দিতে অস্বীকার করেন। পূজাকে বাড়ি থেকেই কলেজে আসার নির্দেশ দেন গুরশরণ। সুইসাইড নোটে রয়েছে, রোজ কলেজ যেতে মাসে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি টাকা খরচ হতো এবং অত টাকা তাঁর সব্জি বিক্রেতা বাবার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। পূজার বাবা প্রভু চৌহান পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, হস্টেলে ঘর না পাওয়ার পর থেকেই মুষড়ে পড়ে মেয়ে। সব ঠিক হয়ে যাবে বলে বাবা ভরসা দিলেও পূজা স্বস্তি পায়নি। মেয়ে এমন চরম পথ বেছে নেবে, ভাবেননি বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গুরশরণের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কলেজ অবশ্য তাঁর পাশে।
পূজার পরিবারের দাবি, খালসা কলেজে ভর্তির সময় বলা হয়, হস্টেলে থাকতে কোনও টাকা লাগবে না। এক বছর সে ভাবেই ছিলেন পূজা। কিন্তু এ বার তাঁকে বিনামূল্যে থাকতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, পূজাকে খেলোয়াড়দের জন্য সংরক্ষিত আসনে বিনামূল্যে ভর্তি নেওয়া হয়। এই মরসুমে ভাল খেলায় তাঁকে হস্টেল ছেড়ে দিতে বলা হয়।