গিরিজা দেবী। ফাইল চিত্র।
প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবী (৮৮)। মঙ্গলবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। স্থানান্তরিত করা সিসিইউতে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তা ছাড়া অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: অভিনেতা বিশালের অফিসে আয়কর হানা কি ‘মের্সাল’ এফেক্ট?
তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯২৯-এর ৮ মে বারাণসীতে জন্ম গিরিজা দেবীর। তিনি বেনারস ঘরানার শিল্পী ছিলেন। ধ্রুপদী ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি ঠুংরিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল। বারাণসী থেকে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। তার পর এই শহরেই থেকে যান গিরিজা দেবী। পেয়েছেন পদ্মশ্রী (১৯৭২), পদ্মভূষণ(১৯৮৯) এবং পদ্মবিভূষণ(২০১৬) সম্মান।
আরও পড়ুন: চিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সশস্ত্র ড্রোন কিনবে ভারত
গিরিজা দেবীর মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোকাহত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী এবং উস্তাদ রশিদ খান-সহ গোটা সঙ্গীত জগত্। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, “তাঁর মৃত্যুতে ঠুংরির সংসারে অন্ধকার ঘনীভূত হল।” অন্য দিকে, রশিদ খান বলেন, “খুব দুঃখের বিষয়। ভীষণ ভালবাসতেন। মায়ের মতো ছিলেন।”
গিরিজা দেবীর প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁর পরিজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে তিনি টুইট করেন, “গিরিজা দেবীর মৃত্যু সঙ্গীত জগতের বড় ক্ষতি। রাজ্য সরকার গিরিজা দেবীকে ২০১২ সালে সঙ্গীত মহাসম্মান ও ২০১৫ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মাননা প্রদান করে।।”