কেন্দ্রীয় বাজেটে রেলে মূলধনী খাতে প্রায় ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
গত বছর ছিল ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা। এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে রেলে মূলধনী খাতে প্রায় ২.৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অর্থাৎ বৃদ্ধি প্রায় এক লক্ষ কোটি। টাকা ঢেলে রোজগার বাড়ানোর কৌশল হিসেবেই এই বৃদ্ধি বলে রেল মহল-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শিবিরের পর্যবেক্ষণ। তাদের বক্তব্য, রেলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ থেকে আয় বাড়াতেই বাজেটে মূলধনী খাতে বরাদ্দ অনেক বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে রেলকে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণও গত বছরের চেয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।
অতিমারি পর্বের ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে রেলে পণ্য পরিবহণ বাড়ানোর পাশাপাশি খরচ কমানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। তাতে ‘অপারেটিং রেশিয়ো’ বা আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খরচের অনুপাত আগের তুলনায় ভাল হলেও আর্থিক স্বাস্থ্য পুরোপুরি ফেরেনি।আর্থিক বছরের শেষে অপারেটিং রেশিয়ো ৯৮.২২ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আগামী অর্থ বছরে পণ্য পরিবহণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১৪৭৫ মিলিয়ন টন থেকে সামান্য বাড়িয়ে ১৫০০ মিলিয়ন টন করা হয়েছে। ট্রেনে যাত্রী-ভাড়া খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। সারা দেশের মেট্রো প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে বাজেটের বরাদ্দ গত বছরের ১৯,১৩০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১৯,৫১৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। কলকাতার কোন মেট্রো প্রকল্পে কত বরাদ্দ হয়েছে, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। কলকাতার দু’টি মেট্রো প্রকল্পকে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। তবে কোন দু’টি প্রকল্প, সেটা স্পষ্ট নয়।
রেলমন্ত্রী আশ্বিনী বৈষ্ণব বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সারা দেশে বড়, মাঝারি ও ছোট মিলিয়ে ১২৭৫টি স্টেশনকে বিশেষ উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেনের রুটগুলিতে হাইড্রোজেন-চালিত ট্রেন চালু করার সময়সীমা ধার্য হয়েছে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উৎপাদন শুরু করা হবে। এ ছাড়াও বড় আকারে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। বন্দে ভারতের কিছুটা ছোট সংস্করণ বন্দে ভারত মেট্রো চালু করার পরিকল্পনাও আছে। কম দূরত্বে আট কোচের ওই ট্রেন চালানো হবে।