প্রতীকী ছবি।
‘স্থিতিশীল কিন্তু অনিশ্চিত’। পূর্ব লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতিকে এ ভাবেই বর্ণনা করলেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে। লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও ডেমচক এবং দেপসাং এলাকায় সংঘাতের আবহ রয়ে গিয়েছে। দুই দেশের সেনার পরবর্তী বৈঠকে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মাস ধরে সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা। লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতিতে উভয়পক্ষের একাধিক সেনাসদস্য হতাহত হয়েছেন। ভারতের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় কাঁটা লাগানো লাঠি, কাঠ দিয়ে তাদের সেনাকে মারধর করেছে চিন। প্রত্যাঘাত করেছে ভারত।
এই আবহে পূর্ব লাদাখে চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বর্তমান পরিস্থিতি কী তা জানাতে গিয়ে সেনাপ্রধান জানান, চিনের তরফে সীমান্তে সেনা সমাবেশ কমানোর কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে চিনের কিছু সেনা সদস্যকে সীমান্ত সংলগ্ন তাঁবু ছেড়ে ভিতরের চলে যেতে দেখা গিয়েছে। ভারতীয় সেনার অনুমান, শীতের আগে সেনার একাংশকে সরিয়ে যৌথ প্রশিক্ষণের আওতায় রাখবে চিন। শীতের পর ফের তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে সীমান্তে।
সেনাপ্রধান জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ধরে চিন হেলিপ্যাড এবং রাস্তা তৈরি করছে। এই রাস্তা ধরে চিন দ্রুত সৈন্য সমাবেশ করতে পারে বলে ভারতের আশঙ্কা। তাই শীতের জন্য ভারতের সেনা সীমান্তে খানিক রক্ষণশীল ভঙ্গিতে থাকলেও, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান।