জইশ শিবিরের মাথারা (বাঁ দিক থেকে): ইউসুফ আজহার (মাসুদ আজহারের শ্যালক), ইব্রাহিম আজহার (মাসুদ আজহারের দাদা) ও মুফতি আজহার খান কাশ্মীরি (কাশ্মীরে জইশের মাথা)
২০ বছর পর বিমান অপহরণের বদলা নিল ভারত! পাকিস্তানে ঢুকে কন্দহর বিমান অপহরণের মূল চক্রীকে নিকেশ করে এল ভারতের যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০!
ইউসুফ আজহার। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারের শ্যালক। মঙ্গলবার ভোরে বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতে বালাকোটে মৃত্যু হয়েছে এই জইশ জঙ্গি নেতার। ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৮১৪ বিমান অপহরণ করে কন্দহর নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা। ইউসুফই ২০ বছর আগের সেই বিমান অপহরণের অন্যতম চক্রী ছিল। জইশ জঙ্গিরা ভারতীয় বিমান আইসি ৮১৪ হাইজ্যাক করেছিল তার নেতৃত্বেই। পরে ভারতীয় সেনা ইউসুফকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৮১৪ বিমান যাত্রীদের প্রাণের বিনিময়ে জইশ নেতা ইউসুফকে তখন মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত।
কী কী আছে ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে জানেন?
২০০০ সালে সিবিআইয়ের অনুরোধে ইন্টারপোল ইউসুফের নামে রেড কর্নার নোটিস জারি করে। তাতে জানানো হয়, পাকিস্তানের করাচিতে তার জন্ম। উর্দু এবং হিন্দি ভাষায় পারদর্শী সে। মাসুদের মতো ইউসুফও ভারতের ‘ওয়ান্টেড’ জঙ্গি তালিকাতেই ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের ছত্রছায়ায় থাকায় এতদিন ইউসুফকে নাগালে পাচ্ছিল না ভারতীয় সেনা। এই হামলায় ইউসুফের পাশাপাশি মাসুদ আজহারের দাদা ইব্রাহিম আজহার এবং ভাই তলহা সইফেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুন: এই জঙ্গিরাই রয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়
আরও পড়ুন: অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে প্রত্যাঘাত বায়ুসেনার, নিকেশ ৩০০ জঙ্গি, ধ্বংস একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি
ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, ইউসুফের একাধিক নাম ছিল। কখনও মহম্মদ সেলিম, কখনও উস্তাদ ঘুহারি নামে তাকে চিনত প্রশিক্ষণরত জঙ্গিরা। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি মাসুদ আজহারের ছায়াতে বসেই বালাকোটে জইশ জঙ্গি শিবিরগুলোতে প্রশিক্ষণ চালাত এই জঙ্গি নেতা। পাকিস্তানে যে সমস্ত জঙ্গি শিবির রয়েছে, ইউসুফই তার মধ্যে সবচেয়ে বড় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চালাত বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ‘গাছের উচ্চতায় নেমে গিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে ভারতের যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০’
আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাতের কয়েকঘণ্টা পরই ভারতের আকাশে পাক-ড্রোন, গুলি করে নামাল সেনা