Serum Institute

আগামী অক্টোবরের মধ্যে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে ভারত: আদর পুনাওয়ালা

দেশে জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের জন্য সরকারের অনুমতি পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফাইজার, ভারত বায়োটেক-এর মতো সংস্থাগুলো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:১৬
Share:

আদর পুনাওয়ালা। ফাইল চিত্র।

২০২১-এর জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে । এবং অক্টোবরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ টিকা পেয়ে যাবেন বলেই আশা প্রকাশ করেছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া(এসআইআই)-র সিইও আদর পুনাওয়ালা।

দেশে জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের জন্য সরকারের অনুমতি পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফাইজার, ভারত বায়োটেক-এর মতো সংস্থাগুলো। এই দৌড়ে সামিল হয়েছে সেরামও। এ প্রসঙ্গে পুনাওয়ালা বলেন, “আশা করছি, এ মাসের শেষেই জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়ে যাব। তবে বৃহত্তর পর্যায়ে প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই ছাড়পত্র পেতে হয়ত একটু সময় লাগবে।” তবে দেশের ড্রাগ নিয়ামক যদি অনুমোদন দেয়, তা হলে জানুয়ারির শুরুতেই টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন পুনাওয়ালা।

তিনি আরও বলেন, “যদি ২০ শতাংশ দেশবাসীকে টিকা দেওয়া যায়, তা হলে এ কর্মসূচিতে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। আশা করছি, আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ থাকবে। এবং আবার আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব।”

পুনাওয়ালা জানান, তাঁদের সংস্থা প্রচুর পরিমাণে টিকা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বাজারেও যাতে সেরামের টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এগোচ্ছেন তাঁরা। টিকা তৈরির জন্য নোভাভ্যাক্স-এর সঙ্গেও চুক্তি করেছে সেরাম। নোভাভ্যাক্স যাতে টিকা তৈরি করতে পারে তাই ২০২১-এর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করতে চাইছে সেরাম। এ কথাও জানিয়েছেন পুনাওয়ালা।

ইতিমধ্যেই যে সংস্থাগুলো টিকার জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের আবেদন জানিয়েছে, তাদের সমস্ত নথি পরীক্ষা করছে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি(এসইসি)। গত সপ্তাহেই এসইসি সেরামের কাছে ভারতে তাদের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পর্কিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement