National News

করতারপুর করিডর মানেই আলোচনা নয়, সার্কের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে কড়া বার্তা সুষমার

সুষমা এ দিন বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ এসেছে। কিন্তু তাতে আমরা সদর্থক সাড়া দিচ্ছি না। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে পাকিস্তান মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনা হবে না। আমরা সার্ক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছি না।’’ 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৭
Share:

সুষমা স্বরাজ। —ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীকে সার্ক সম্মেলনে যোগদান করার জন্য পাকিস্তানের আমন্ত্রণ পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করল ভারত। বুধবার বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন) সম্মেলনে ভারত যোগ দেবে না। পাশাপাশি করতারপুর করিডরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার যে কোনও সম্পর্ক নেই, সে কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিদোশমন্ত্রী।

Advertisement

মঙ্গলবারই পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সাল জানান, সার্ক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তার ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। বুধবার হায়দরাবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে সুষমা এ দিন বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ এসেছে। কিন্তু তাতে আমরা সদর্থক সাড়া দিচ্ছি না। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে পাকিস্তান মদত দেওয়া বন্ধ না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনা হবে না। আমরা সার্ক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছি না।’’

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পাকিস্তানের নরওয়ালে বুধবারই করতারপুর করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হচ্ছে। ভারত থেকে যোগ দিয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কউর বাদল ও হরদীপ সিং পুরি এবং পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। সাংবাদিক বৈঠকে উঠে আসে সেই প্রসঙ্গও। প্রশ্ন করা হয়, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাঠিয়ে কি ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিতে চাইছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

আরও পড়ুন: করতারপুর গুরুদ্বার নিয়ে এত কিছু জানতেন!

জবাবে সুষমা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আর করতারপুর করিডর দু’টি আলাদা বিষয়। আমরা খুশি যে দীর্ঘ বছর ধরে ভারত আর্জি জানানোর পর অবশেষে পাকিস্তান করতারপুর করিডর তৈরিতে সদর্থক পদক্ষেপ করছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, এর ভিত্তিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে ফের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হবে।’’

আরও পড়ুন: ‘এনকাউন্টার’-এ নিহত সাংবাদিক শুজাত বুখারি হত্যাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা নাভেদ জাট

‘সন্ত্রাস এবং আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না’—কেন্দ্রের পুরনো এই অবস্থানের কথা এ দিন ফের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে মুহূর্তে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করবে, সেদিন থেকেই আলোচনা শুরু হতে পারে। কিন্তু করতারপুর করিডরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

পাকিস্তানের করতারপুরেই শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক অন্তিম শয্যায় শায়িত। শিখদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র এই কর্তারপুরের দরবার সাহিব গুরুদ্বার। এই করতারপুর থেকে পঞ্জাবের গুরদাসপুরে ডেরা বাবা নানক পর্যন্ত এই করিডরের কাজ শেষ হবে ২০১৯-এর নভেম্বরে। তার পর থেকে ভারতের শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন বিনা ভিসায় এই করতারপুরের গুরুদ্বার ভ্রমণ করতে পারবেন।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement