প্রতীকী ছবি।
আবার উত্তাল পাকিস্তান।
তাতে ভারতের কী?
নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী থাকলেও ভারতের সঙ্গে প্রেমের জোয়ারে ভাসার পরিস্থিতি তো দূরের কথা, বরং পারস্পরিক শত্রুতাই এক চরম জায়গায় পৌঁছে যায়?
তবু উদ্বিগ্ন ভারত। সাউথ ব্লক দূরবীন নিয়ে বসেছে ঘটনাপ্রবাহের দিকে। কী হয় কী হয় ভাব! কারণটা বললেন বিদেশসচিব জয়শঙ্কর। তিনি বললেন, “প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আগুন লাগলে তার আঁচ তো গায়ে এসে লাগে!” তা ছাড়া, এ হল বিশ্বায়নের যুগ। কূটনৈতিক অসমোসিস চলছে সারাক্ষণ।
আরও পড়ুন: ইস্তফা দিলেন নওয়াজ, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছতে জোর তৎপরতা
নওয়াজ পঞ্জাব প্রদেশের প্রতিনিধি। পঞ্জাব পাকিস্তান সংসদে সব চেয়ে বেশি সদস্যসংখ্যা দিয়ে থাকে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতেও নওয়াজ সর্বদাই আগ্রহী। তিনি নিজেও ব্যবসায়ী। তবে এ বার পানামা নিয়ে নওয়াজের ইস্তফার পর যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন না কেন তিনি তো নওয়াজের মুসলিম লিগের নেতাই হবেন। যদি নওয়াজের ভাই বা ভাইয়ের ছেলে প্রধানমন্ত্রী হন তা হলেও নওয়াজের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে পাকিস্তানের রাজ্যপাট। সেটা কি অনেকটা রাবড়ি দেবীর বিহার শাসনের মতো হবে?
এই বিষয়টাই দেখার। কারণ পাকিস্তান ও ভারতের রাজনৈতিক পার্টি সিস্টেমটা ভিন্ন। ওখানে পাক সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা তা কিন্তু ভারতে নেই। নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হলেও তাঁর জায়গায় যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আসুন না কেন তাঁর উপরে সেনা বা আইএসআই-এর নিয়ন্ত্রণ থাকবেই। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় ভারত, বরং তারা চাইছে ক্ষমতায় যে-ই আসুন না কেন, তাঁর সঙ্গে সেনার সম্পর্ক যেন আরও মজবুত হয়। কারণ রাজনৈতিক প্রভুদের সঙ্গে সেনার সঙ্ঘাত যদি বাড়ে তা হলে আখেরে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালাতে অসুবিধাই হবে। নওয়াজ শরিফের আগের কার্যকালের সময় পাকসেনার সঙ্গে সঙ্ঘাত চরমে ওঠে।