কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
গত এক দশকে সারা দেশে নকশালদের হামলা অনেকাংশেই কমেছে, কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশ সম্পূর্ণ ভাবে মাওবাদী তথা নকশালমুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের। সেই পরিকল্পনা অনুসারেই হচ্ছে কাজ। শনিবার ছত্তীসগড়ের কোরবা শহরের জনসভায় এমন মন্তব্যই শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে মাওবাদীদের হামলার সংখ্যাটি কমে হয় ৫০৯। অথচ, ২০০৯ সালে, যখন কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল তখন এই সংখ্যাটি ছিল ২২৫৮।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি প্রতিশ্রুতি রেখেছে, ক্ষমতায় এসে দশ বছরের মধ্যে সারা দেশে মাওবাদী হামলার ঘটনা কমিয়ে দিয়েছে। কোথাও যেন এই তথ্য দেওয়ার মধ্যে ছিল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের প্রকট প্রয়াস। প্রসঙ্গত, ছত্তীসগড় সেই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম যা প্রবল ভাবে মাওবাদী হামলার সম্মুখীন হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। সেই বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহের দাবি, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে দেশ যাতে সম্পূর্ণ ভাবে মাওবাদীমুক্ত হয়, সেই চেষ্টায় কোনও খামতি নেই মোদী সরকারের।
শনিবার রাজ্যের কোরবা শহরের ইন্দিরা স্টে়ডিয়ামে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শাহ। ২০২৪-এর নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি সেই বক্তৃতায় ছিল রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের প্রতি অভিযোগের তির। শাহের দাবি, রাজ্যে যত অপরাধমূলক কাজ ও দুর্নীতি বেড়েছে তার পিছনে রয়েছে কংগ্রেস। দুর্নীতিমুক্ত ছত্তীসগড় ও দেশের জন্য ২০২৪ সালে ফের এক বার মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া প্রয়োজন। দর্শকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন, বিজেপির হাত ধরে দেশ ও মানুষের সার্বিক উন্নতি নাকি কংগ্রেসের দীর্ঘকালিন অবহেলা ও দুর্নীতি— কোনটা বেছে নেবেন তাঁরা। সেই প্রসঙ্গেই তিনি তোলেন মাওবাদী আন্দোলন ও হামলা কমে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার শুধু যে শিশু কিশোরদের হাতে বন্দুকের বদলে শিক্ষার সুযোগ তুলে দিয়েছে তা নয়, যারা সেই বন্দুকের জোগান দিত নিকেশ করেছে তাদেরও। মোদী সরকারে লক্ষ্য ছিল ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে মাওবাদী হামলা কমানোর। তাতে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গেই ভূপেশ বঘেলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তাঁর জানতে ইচ্ছে করে নিজের পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বে মানুষের জন্য কী করেছেন বঘেল, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কাজে মদত দেওয়া ছাড়া। পাশাপাশি, ডিস্ট্রিক্ট মিনারেল ওয়াটার ফান্ড নিয়ে বঘেল সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।