Indian Army

সিয়াচেনে মোতায়েন সেনাদের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরি হবে দেশেই

১৯৮৪ সাল থেকে এই হিমবাহে টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানেরা। শেষ দশ বছরে কোনও যুদ্ধ না হলেও স্রেফ চরম আবহাওয়ার কারণে এখানে মারা গিয়েছেন ১৬৩ জন ভারতীয় জওয়ান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ১৮:০৯
Share:

সিয়াচেন হিমবাহে ভারতীয় জওয়ান। ফাইল চিত্র।

পৃথিবীর সব থেকে দুর্গম যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে ভারতীয় জওয়ানদের জন্য বিশেষ জামাকাপড় আর পর্বতারোহণের সামগ্রী এখন বানানো হবে দেশেই। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের চরম শীতল এই অঞ্চলে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এত দিন আনা হত বিদেশ থেকে। মাইনাস পঞ্চাশ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও শরীর গরম রাখার জিনিসপত্র বানানোর প্রযুক্তি ভারত সরকারের হাতে এত দিন ছিল না। তাই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইৎজারল্যান্ড আর কানাডা, এই চারটি দেশের উপরেই সেনাদের সরঞ্জামের জন্য নির্ভর করতে হতো ভারতকে।

Advertisement

ষোল হাজার থেকে কুড়ি হাজার ফুট উঁচু সিয়াচেন হিমবাহই পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। সরকারি তথ্যের হিসেবে, সেনাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করতে ভারতের প্রতি বছরে খরচ হয় আটশো কোটি টাকা। সামরিক সূত্রের খবর, দেশে এই সরঞ্জাম বানানো হলে প্রতি বছরে প্রায় তিনশো কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে ভারত। তবে এ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।

শেষ দশ বছরে কোনও যুদ্ধ না হলেও স্রেফ চরম জলবায়ুর কারণে সিয়াচেনে মারা গিয়েছেন ১৬৩ জন ভারতীয় জওয়ান। ফাইল চিত্র।

Advertisement

কারাকোরাম পর্বতমালার জলবায়ুতে প্রাণ ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীকে পর্বতারোহণ ও সামরিক পরিভাষায় বলা হয় ‘এক্সট্রিম কোল্ড ওয়েদার ক্লোদিং সিস্টেম’। যার মধ্যে রয়েছে বরফ কাটার জন্য প্রয়োজনীয় কুঠার (আইস অ্যাক্স), বরফ চশমা, ঘুমোনোর ব্যাগ (স্লিপিং ব্যাগ), বিশেষ জুতো ও আরও নানান কিছু। দশ বছর আগে এই সরঞ্জাম বানানোর পরিকল্পনা প্রথম করে ভারত। এনডিএ সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হয় দেশেই সরঞ্জাম বানানোর উপর।

আরও পড়ুন: ‘বুড়ো’ হচ্ছে দেশ! ৩ দশকে ৩ গুণ হবে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা

দুটো ধাপে এই সরঞ্জাম বানানো হবে। প্রথম ধাপে নয় হাজার থেকে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় যে সেনারা থাকেন, তাঁদের সরঞ্জাম বানানো হবে। পরের ধাপে, তার ওপরে থাকা সেনাদের সরঞ্জাম বানানো হবে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি বিদেশি সংস্থাও ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে এই সরঞ্জাম বানাতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: কেরলে বন্যায় যে ভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে পরিবারকে বাঁচাল এই সারমেয়

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement