সুখোই থেকে ব্রহ্মস নিক্ষেপের প্রস্তুতি, ইতিহাস তৈরির পথে ভারত

যুদ্ধবিমান থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইতিহাস তৈরির তোড়জোড় শুরু করে দিল ভারত। পৃথিবীর এই সবচেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূমি এবং সমুদ্রগর্ভ থেকে ইতিমধ্যেই সফলভাবে উৎক্ষেপন করেছে ভারত। শুধু আকাশ থেকে ব্রহ্মস নিক্ষেপ বাকি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:৫৮
Share:

যুদ্ধবিমান থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইতিহাস তৈরির তোড়জোড় শুরু করে দিল ভারত। পৃথিবীর এই সবচেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে ভূমি এবং সমুদ্রগর্ভ থেকে ইতিমধ্যেই সফলভাবে উৎক্ষেপন করেছে ভারত। শুধু আকাশ থেকে ব্রহ্মস নিক্ষেপ বাকি। ভারত-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস এরোস্পেস কর্পোরেশনের শীর্ষ কর্তা সুধীর মিশ্র জানিয়েছেন, এ বার সুখোই-৩০এমকেআই থেকে নিক্ষেপ করার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। পৃথিবীর ইতিহাসে এত ভারী ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রথম বার ব্যবহার করবে কোনও ফাইটার জেট।

Advertisement

দেখুন গ্যালারি:

ভারতের সেরা ১২ ক্ষেপণাস্ত্র যা কাঁপিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের বুক

Advertisement

ভারত এখন বৃহৎ শক্তি, বুঝিয়ে দিল নৌ-মহড়ার প্রথম দিনই

ব্রহ্মসের মতো বড় এবং ভারী গোত্রের ক্ষেপণাস্ত্রকে পৃথিবীর কোনও দেশই এখনও যুদ্ধবিমান থেকে ছুড়তে পারেনি। ভারত-রুশ যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র গবেষণা সংস্থা ব্রহ্মস এরোস্পেস কর্পোরেশনের এমডি এবং সিইও সুধীর মিশ্র একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। চলতি বছরেই ব্রহ্মসের এই ঐতিহাসিক পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র যাতে বহন করা যায়, তার জন্য বিমানটির কাঠামোতে বদল আনা হয়েছে।’’ মিশ্র আরও বলেন, ‘‘যে দিন সুখোই-৩০এমকেআই থেকে ব্রহ্মস সফলভাবে নিক্ষিপ্ত হবে, সে দিন গোটা পৃথিবীর এরোনটিক্স ইন্ডাস্ট্রি আমাদের অভিবাদন জানাবে মিসাইল এবং এরোনটিক্স গবেষণার একটা খুব কঠিন মাইলফলকে পৌঁছনোর জন্য।’’ ব্রহ্মস এরোস্পেস কর্পোরেশন সূত্রের খবর, আকাশ থেকে ব্রহ্মস ছুড়ে ভূখণ্ডে এবং জলসীমায় আক্রমণ চালানোর মহড়া দেবে সুখোই-৩০এমকেআই।

পড়ুন:

ভারত-রুশ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ মিসাইল!

ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে গবেষণা অন্য অনেক দেশের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতে শুরু করলেও দ্রুত উন্নতি করেছে ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলির সংগঠন ‘মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম’-এ (এমটিসিআর)ভারতকে সামিল করতে এখন রাজি আমেরিকা। কিন্তু ইতালির আপত্তিতে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ভারত এমটিসিআর-এর সদস্য হোক বা না হোক, আন্তর্জাতিক সমর বিশেষজ্ঞদের প্রায় সকলেই মেনে নিয়েছেন, ওই সংগঠনের অনেক সদস্য দেশের চেয়েই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে ভারত এখন অনেক এগিয়ে।ভারত ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা যৌথ উদ্যোগে যে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, সেই ব্রহ্মস এখন পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম ক্ষেপণাস্ত্রগুলির অন্যতম। ব্রহ্মসের চেয়ে দ্রুতগামী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পৃথিবীতে আর একটিও নেই। ব্রহ্মসের পাল্লাও অন্যান্য অনেক ক্রুজ ক্ষপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি। রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রকে কম পাল্লায় বেঁধে রাখলেও, ব্রহ্মসের ভারতীয় সংস্করণটির পাল্লা বাড়িয়ে তাকে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এত দ্রুত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতের এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যে, রেডারে তার ছুটে আসার খবর ধরা পড়লেও অনেক সময় প্রতিরোধের সময় পাওয়া যায় না। ভারত সুখোই থেকে ব্রহ্মস নিক্ষেপ করার তোড়জোড় শুরু করায় চাপে পড়বে নয়াদিল্লির অনেক প্রতিপক্ষই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement