পৃথ্বী-২। —ফাইল চিত্র।
জোড়া পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গেই উত্তীর্ণ হল পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্র।
সোমবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মাটি কাঁপিয়ে একই সঙ্গে ছোড়া হয় দু’টি ‘পৃথ্বী-২’ ক্ষেপণাস্ত্র। ওড়িশার সমুদ্র উপকূলের চাঁদিপুর টেস্ট রেঞ্জ থেকে ওই দুই পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পুরোপুরি সফল হয়েছে। চাঁদিপুরের তিন নম্বর লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে ছোড়া হয় এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র। পরীক্ষার জন্য আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়নি এই দুটি। বরং অনেকগুলো উৎপাদিত ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়।
চাঁদিপুর টেস্ট রেঞ্জ থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে ক্ষেপণাস্ত্রটির আঘাত হানার বিন্দু পর্যন্ত পুরো এলাকাতেই ভারতীয় সেনার নজরদারি ছিল। তদারকিতে ছিলেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) বিজ্ঞানীরাও। এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নিপুণ লক্ষ্যভেদে পৃথ্বী-২ পারদর্শিতা ফের যাচাই করে নিয়েছেন তাঁরা।
ভারতের এই সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩৫০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত গিয়ে শত্রু পক্ষের ঘাঁটিতে গিয়ে পরমাণু হামলা চালাতে পারে। ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোগ্রাম ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। তরল জ্বালানির জোড়া ইঞ্জিনের সাহায্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র এগিয়ে যায় তার লক্ষ্যে।
৯ মিটার লম্বা ওই ক্ষেপণাস্ত্রটির প্রথম সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারি। সরকারি ভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর হাতে এসেছে ২০০৩ সালে। তার পর ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ধাপে ধাপে উন্নত করা হয়। বহু দূর থেকে নিখুঁত ভাবে শত্রু পক্ষের ঘাঁটি চিনে নিতে ও তার ওপর আঘাত হানতে সর্বাধুনিক ‘ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম’ রয়েছে এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রুপক্ষের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নজরও এড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনা ঘাঁটিতে পাক সেনার গুলিবর্ষণ, মৃত ১ সেনা