Tuberculosis

Tuberculosis Vaccine: কোভিডের পর যক্ষ্মার টিকা তৈরির চেষ্টায় ভারত, চলছে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ১২ হাজার জনকে বেছে নিয়েছে আইসিএমআর। চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার আগে তিন বছর ধরে পরীক্ষার ফলাফলের উপর নজর রাখা হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২১ ১১:০০
Share:

২০২৫-এর মধ্যে দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত। ছবি: রয়টার্স

লক্ষ্য ২০২৫-এর মধ্যে দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করা। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে যক্ষ্মার টিকা নিয়ে কাজ শুরু করে দিল ভারত। দু’টি টিকা নিয়ে কাজ চলছে। একটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইমিউভ্যাক। অন্যটি জার্মানির তৈরি ভিপিএম১০০২। এই দু’টি টিকারই তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। গোটা বিশ্বে যক্ষ্মার টিকা বলতে ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন (বিসিজি)-কেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। মূলত শিশুদের যক্ষ্মা এবং মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে এই টিকা দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন এই দুই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হলে নতুন এক দিগন্ত খুলে যাবে গোটা বিশ্বের কাছে।

এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিএমআর ১২ হাজার জনকে বেছে নিয়েছে। দেশের সাতটি জায়গায় এই পরীক্ষা চলবে। চূড়ান্ত ছাড়পত্র এবং বাণিজ্যিক ভাবে প্রয়োগের আগে তিন বছর ধরে এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নজর রাখবে আইসিএমআর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে মানুষকে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতন করা এবং যক্ষ্মা রোগীকে ডটস কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে এই টিকা নিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

ওই বিজ্ঞানীর কথায়, “কোভিড ১৯-এর টিকার ফল কয়েক মাসের মধ্যে হাতে চলে এসেছে। কিন্তু যক্ষ্মা হল দীর্ঘস্থায়ী একটি রোগ। ফলে আমাদের কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার আগে অংশগ্রহণকারীদের উপর ভাল ভাবে এবং দীর্ঘ দিন ধরে নজর রাখতে হবে।”

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ইমিউভ্যাক মূলত কুষ্ঠ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটিকে ‘মাইকোব্যকটেরিয়াম ইন্ডিকাস প্রানাই’ও বলা হয়। এই টিকার মধ্যে কুষ্ঠ এবং যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়ার মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। অন্যটি হল ভিপিএম১০০২। ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের পালমোনারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক ডিজে ক্রিস্টোফার বলেন, “কোভিডে ধনী এবং গরিব সব দেশই আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু যক্ষ্মা মূলত গরিব দেশ এবং গরিবদের মধ্যেই বেশি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এখনও আমাদের হাতে কার্যকরী কোনও টিকা নেই। যাঁদের যক্ষ্মা হওয়ার বেশি ঝুঁকি রয়েছে তাঁদের জন্যই মূলত এই টিকা তৈরি করা হচ্ছে। তবে বাজারে আসতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।” অন্য দিকে পুণের কেইএম হাসপাতালের চিকিৎসক প্রদীপ ডি’কোস্টা জানান, এই টিকা সরকারের যক্ষ্মা প্রকল্পে একটা নতুন দিশা দেখাবে। কিন্তু এখনও অনেক পথ যেতে হবে। ডি’কোস্টা ভিপিএম১০০২ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দায়িত্বেও রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement