চাঁদে পাড়ি জমাতে ভারতের পাশে জাপান।
আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র দু’দিনের ভারত সফর। এই সফরে পরমাণু চুক্তির রূপায়ণ, সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বুলেট ট্রেনের শিলান্যাসের পাশাপাশি চন্দ্রাভিযান প্রকল্পকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে বিদেশমন্ত্রক।
সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হলে ভারত-জাপান যৌথ উদ্যোগে ২০১৮-র প্রথমার্ধে চাঁদে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত মহাকাশযান তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। টিম ইন্ডাস নামে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থা জাপানি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বছরের গোড়াতেই। ওই মহাকাশযানের মূল ইঞ্জিনটি আনা হচ্ছে জাপানের আইএইচআই এরোস্পেস থেকে। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর ঘিরে উৎসাহ মোদী সরকারের। সাজছে আমদাবাদ। আজ সন্ধ্যার পর থেকে জাপানি ভাষায় একের পর এক টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, শুধু চুক্তি সইয়ের মধ্যেই আসন্ন সফরটিকে সীমায়িত রাখতে চাইছেন না দু’দেশের নেতৃত্ব। কথা হবে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও। জাপানই একমাত্র দেশ, যারা ডোকলাম নিয়ে চিনের সঙ্গে দ্বৈরথের সময় প্রকাশ্যে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল। নয়াদিল্লি মনে করে চিনের সঙ্গে আপাতত সীমান্ত সমঝোতা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ডোকলামের পুনরাবৃত্তি হতেই পারে। আর সেক্ষেত্রে টোকিওর সঙ্গে বাণিজ্যিক, সামরিক এবং কৌশলগত বোঝাপড়াটা আরও বাড়ানো এই মুহূর্তে সাউথ ব্লকের অগ্রাধিকার। আর তাই জাপানের সঙ্গে আগামী দু’দিনের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠককে এশীয় রাজনীতিতে বিজ্ঞাপিত করারও সব রকম কৌশল নেওয়া হচ্ছে। জাপানের সঙ্গে সম্প্রতি সই হওয়া পরমাণু চুক্তির রূপায়ণ এবং চন্দ্রাভিযানের যৌথ প্রয়াসও এই বিজ্ঞাপনের মধ্যে পড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।