বেড়াতে যাওয়ার তালিকায় প্রথমেই গোয়ার নাম রয়েছে? যদি নাও থাকে, এ বার বেড়িয়ে আসতে পারেন গোয়ায়। মুম্বই থেকে গোয়া এ বার আর সড়ক পথে নয়, যেতে পারেন প্রমোদ তরীতে।
দেশের প্রথম প্রমোদ তরী এটি। ক্রুজটির নাম অ্যাংরিয়া।
ক্রুজটির নাম রাখা হয়েছে অ্যাডমিরাল কানহোজি অ্যাংরের নামে। কানহোজি অষ্টাদশ শতকে মারাঠা সাম্রাজ্যের নৌ বাহিনীর নেতৃত্বে ব্রিটিশদের রুখে দিয়েছিলেন।
প্রমোদ তরীতে রয়েছে ১০৪টি ঘর, বাজেট অনুযায়ী আট ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের জন্য।
রয়েছে ডর্মেটরিও। লাক্সারি স্যুটে রয়েছে জাপানি স্টাইলের সুইমিং পুলও।
আন্ডারওয়াটার লাক্সারি রুমও রয়েছে এই ক্রুজে।
৬টি পানশালা, ২টি রেস্তরাঁ, ডিস্কো থেক, রিডিং রুম, স্পা, কী নেই এতে।
অ্যাংরিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন নীতিন ঢোন্ড বলেন, “এটা শুধু জার্নি নয়। এটা এক্সপিরিয়েন্স।”
মু্ম্বই থেকে গোয়া যেতে সময় লাগবে ১৪ ঘণ্টা। খরচ ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা।
মুম্বই থেকে গোয়ায় সপ্তাহে চার বার পাড়ি দেবে অ্যাংরিয়া।
অ্যাংরিয়ার চেয়ারম্যান কিরণ ঠাকুর বলেন, “সরকার বন্দর ও পর্যটনের প্রসারে আরও গুরুত্ব দেবে।”
ক্রুজটি চালু হয়েছে শনিবার, ২০ অক্টোবর। চালু হওয়ার পর এক অন্য বিতর্ক দেখা দেয়।
এই বিনোদন জাহাজেই ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশের স্ত্রী অমৃতা। অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় তিনি পৌঁছে যান জাহাজের এক্কেবারে কিনারায়। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি পা ঝুলিয়ে বসে রয়েছেন কার্নিশের কাছে। তুলছেন সেলফি। শুরু হয় বিতর্ক।