প্রতীকী ছবি
চিন-বিরোধী চতুর্দেশীয় অক্ষ বা ‘কোয়াড’ নিয়ে বরাবরই দ্বিধায় ছিল নয়াদিল্লি। কোয়াড নিয়ে বেশি সক্রিয়তা চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে— এমন আশঙ্কায় কখনওই আক্রমণাত্মক হয়ে পারেনি ভারত। সূত্রের খবর, এই পুরনো অবস্থান থেকে এ বার সরছে তারা।
গালওয়ান উপত্যকায় ১৫ জুন রাতে রক্তপাতের পর, চিন-নীতি নিয়ে আর কোনও দ্বিধা নেই বলে জানাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রকের সূত্র। এ ব্যাপারে আমেরিকার তরফেও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গিয়েছে। কোয়াড-এর সামগ্রিক জোটকে চিনের কৌশলগত একাধিপত্বের মোকাবিলায় কাজে লাগানোর কথা ভাবছে আমেরিকা। এই জোটের সামরিক সমন্বয়ের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে ফাইটার জেট প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবছে আমেরিকা। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তারা তাদের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট’ সংশোধন করবে বলেও জানা গিয়েছে। আসল নিশানা যে চিন, তা গোপন করেনি ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো জানিয়েছেন, ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের উপর চিনের আগ্রাসনকে মাথায় রেখে আমেরিকা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা সরিয়ে ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, দক্ষিণ চিনা সাগরে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকেও সঙ্গে নিয়ে চর্তুদেশীয় নৌসেনা মহড়া কত দ্রুত শুরু করা যায়, তার প্রস্তুতিও শুরু করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই উদ্যোগের পাশাপাশি গত কাল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আশিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলিও নাম-না-করে চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। একটি ভিডিয়ো সম্মেলন করে তারা যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘১৯৮২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমুদ্র চুক্তিকেই দক্ষিণ চিন সাগরের ন্যায্য আইনি অধিকার, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তি করা উচিত।’ চিন যেখানে গোটা জলপথেই নিজেদের একাধিপত্ব স্থাপন করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ, তখন ১০টি দেশের এই কড়া বিবৃতি কিছুটা চাপে রাখবে তাদের— এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গুরুতর রোগীকে গ্লুকোকর্টিকয়েডস
আমেরিকার এই চিন-বিরোধিতাকে, সব দিক রক্ষা করে কী ভাবে নিজেদের কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে ভাবছে বিদেশ মন্ত্রকে। গত কালই আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, হংকং-এর স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার জন্য যে সব চিনা কর্তা দায়ী, তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। তবে তাঁরা কারা, তা নিয়ে মুখ খোলেনি হোয়াইট হাউস।