দেশের নিরাপত্তার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি। শত্রুপক্ষের হামলা থেকে সবরকম ভাবে রাষ্ট্রনেতাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত থাকে যে কোনও রাষ্ট্রই। ভারতও ব্যতিক্রম নয়।
ভারতে দুটি এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান এয়ারক্র্যাফ্ট রয়েছে। একটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও অন্যটি প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ারক্র্যাফট এয়ার ফোর্স ওয়ানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এ বার সাজানো হবে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানকেও।
লার্জ এয়ারক্র্যাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টার মেসার (LAIRCAM) ও সেল্ফ প্রোটেকশন স্যুটস (SPS) নামে দু’টি সিস্টেম কেনার অনুমতি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ভারত সরকারের তরফেই এই প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রশাসনের কাছে। এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানকে আরও শক্তিশালী নিরাপত্তায় সাজাতে আমেরিকার কাছ থেকে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকায় এয়ার ফোর্স ওয়ানের প্রযুক্তি কিনছে ভারত। এর ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
দুটি ৭৭৭ বোয়িং বিমান কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে বোয়িং ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে এয়ার ইন্ডিয়াকে পাঠিয়েছিল এগুলি। সেগুলি মার্কিন প্রযুক্তির সহায়তায় সাজছে নতুন রূপে। (প্রতীকী ছবি)
মার্কিন প্রযুক্তিতে মিসাইল হামলা থেকেও বাঁচবে এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান। লার্জ এয়ারক্র্যাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টার মেসার প্রযুক্তি মিসাইলের হাত থেকে বিমানকে বাঁচাবে। এ ছাড়া বিমানের ক্রু মেম্বারদের জন্য অ্যালার্ম-সহ আরও বিশেষ প্রযুক্তি থাকবে।
এই বিমান লক্ষ্য করে কোনও মিসাইল ছুটে আসছে কি না, তা আগেই টের পেয়ে যাবেন পাইলট। এয়ার ফোর্স ওয়ানে যে ধরনের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম থাকে, সেটাই এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানের জন্য বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন সমরাস্ত্র দিয়ে সাজানো এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানে চেপেই বিদেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি।