রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ কিনতে পারলে আরও দুর্ভেদ্য হয়ে উঠবে ভারতের আকাশসীমা। ছবি: সংগৃহীত।
মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত পর্যায়ের কথাবার্তা শুরু করল ভারত। এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কেনার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই নয়াদিল্লি-মস্কো আলোচনা চলছে। ৩৯ হাজার কোটির টাকার সেই চুক্তি এ বার চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের মোট ৫টি ইউনিট কেনার বিষয়ে কথা চলছে। এক একটি ইউনিটে কী থাকবে? থাকবে ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, পুরোদস্তুর ব্যাটল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট রাডার এবং ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টর-লঞ্চার ভেহিকল বা টেল ভেহিকল (ট্রাকের মতো দেখতে যে গাড়ি ক্ষেপণাস্ত্রকে বহন করে নিয়ে যেতে পারে এবং ছুড়তে পারে)। যে কোনও এলাকায় যেতে পারবে এই ইউনিট, অর্থাৎ দেশের যে কোনও এলাকায় প্রয়োজন মতো একে মোতায়েন করা যাবে।
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশপথে আসা নানা ধরনের আক্রমণকে রুখে দিতে সক্ষম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে পরমাণু হামলার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই আকাশসীমা সুরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী। একসঙ্গে ১০০ থেকে ৩০০টি লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ।
আরও পড়ুন:
‘ভারতের লাদেন’ কুরেশি দিল্লি পুলিশের জালে
লোয়া মৃত্যুরহস্য: সব মামলা হাতে নিয়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট
এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ কেনার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই রাশিয়ার সঙ্গে কথা হচ্ছে ভারতের। আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ফাঁকে মিসাইল সিস্টেমটির একাধিক ফিল্ড ট্রায়ালও হয়েছে। আকাশসীমার সুরক্ষার প্রশ্নে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের সক্ষমতার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই সে বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করার পথে এগিয়েছে ভারত।
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেই ৩৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তিটি সেরে ফেলতে চাইছে ভারত। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার দু’বছর পর থেকে মিসাইল ডিফেন্স ইউনিটগুলি হাতে পাওয়া শুরু হবে।
চিনও রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনছে। ২০১৪ সালেই মস্কো-বেজিং চুক্তি হয়ে গিয়েছে। ফলে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলি একে একে হাতে পেতেও শুরু করেছে চিন।