ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইরানে পর পর ইজ়রায়েলের বিমান হামলায় শনিবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম এশিয়ার। সংঘাত-পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত। নতুন পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ করে ওই দুই দেশকে ‘সংযত’ থাকার বার্তা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে শনিবার একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘পশ্চিম এশিয়ার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং তার প্রভাবে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সেখানকার শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুবই প্রয়োজন। আমরা সংশিষ্ট সকলকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বার করার পক্ষে সওয়াল করেছে ভারত।
শনিবার ভোরে দু’দফায় ইরানে হামলা চালিয়েছে অন্তত ১০০টি ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। সঙ্গে ছিল হানাদার ড্রোনও। তার পোশাকি নাম ‘অপারেশন ডেজ় অফ রিপেনট্যান্স’ (বাংলা তর্জমায়, ‘অনুতাপের অভিযানের দিন’)। ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, ইরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘নির্দিষ্ট’ কিছু হামলা চালাচ্ছে তারা। শনিবার ভোর রাত থেকে আকাশপথে অন্তত দু’টি হামলা হয়েছে তেহরান এবং সংলগ্ন এলাকায়। ইরানে ইজ়রায়েলের এই সরাসরি হামলা পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দিল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইজ়রায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছিলেন লেবাননের সশস্ত্র শিয়া বাহিনী হিজ়বুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লা। তার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল ইরান সেনার ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’। মূলত তাদেরই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ঘাঁটিগুলিকে শনিবার নিশানা করেছিল আইডিএফ। যদিও ইরান প্রথমে দাবি করেছিল, ‘সামান্য কিছু ক্ষয়ক্ষতি’ হলেও তাদের সামরিক পরিকাঠামো অক্ষত। তবে পরে তারা জানায়, ইজ়রায়েলি হামলায় তাদের দু’জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। ইরান সরকারের নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম তাসনিমের হুঁশিয়ারি— ‘‘আমরা সমানুপাতিক প্রতিশোধ নেব।’’