ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রসারণে আপত্তি নেই। তবে পাকিস্তানকে নিয়ে এখনই ভাবতে নারাজ ভারত। সরাসরি পড়শি দেশের নাম না-করে ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির (ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা) ‘সম্প্রসারণের সম্ভাবনা’ সম্পর্কে এমনই কথা জানাল বিদেশ মন্ত্রক। আগামী ২২-২৪ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকায় জোহানস্বার্গে ‘ব্রিকস’ শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। সেখানে পাঁচ দেশের গোষ্ঠীর সম্প্রসারণের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকত পারে বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।
পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে নয়াদিল্লির ‘আপত্তির’ কথাও। এই পরিস্থিতিতে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘‘ব্রিকসের সদস্য হিসেবে নতুন কোনও দেশের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ভারতের আপত্তি রয়েছে বলে যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’’ বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, ইরান, কাজাখস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে আগ্রহী। অন্য দিকে, চিন চায় পাকিস্তানকে। ওই সূ্ত্র জানাচ্ছে, গত ২৪ জুন ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘পাকিস্তান’ নিয়ে আপত্তির কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন।
ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পাশাপাশি জুনের বৈঠকে ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান, মিশর, ফিজি, আলজেরিয়া, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া রাষ্ট্রনেতারা। কিন্তু বেজিং সক্রিয় হলেও শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লির আপত্তিতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘পর্যবেক্ষক’ হতে পারেননি বলে ওই সূত্রের খবর। বিশ্বের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২৫ শতাংশেরও বেশি এই গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সম্মিলিত জিডিপি। এই আবহে ‘ব্রিকস নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক’ (এনডিবি)-কে আরও প্রসারিত করার বিষয়টি দক্ষিণ আফ্রিকার বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্রিকসের সম্প্রসারণ চাইলেও সেই তালিকায় ইসলামাবাদকে দেখতে নারাজ নরেন্দ্র মোদী সরকার।