জন্মলগ্ন থেকেই বিবাদ, যা অব্যাহত আজও। তাতে মিলেছে পরমাণু হামলার হুমকিও। কিন্তু ক্ষেপণান্ত্র শক্তিতে কে এগিয়ে ভারত, না পাকিস্তান? দেখে নিন ছবিতে।—ফাইল চিত্র।
ভারত- অগ্নি-৫: এই ক্ষেপণাস্ত্রেরপাল্লাসাড়ে পাঁচ হাজার থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ কিলোমিটার। ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ৫০ টনের এই ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার ৫০০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে পারে। এর আয়ত্তের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, চিন এবং ইউরোপ।
অগ্নি-৪: মাঝারি দূরত্বের এই ক্ষেপণাস্ত্র চার হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ১৭ টন ওজনের ক্ষেপণাস্ত্রটির দৈর্ঘ্য ২০ মিটার। ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টন ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
অগ্নি-৩: মাঝারি দূরত্বের এই ক্ষেপণাস্ত্র সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার। দু’হাজার ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
অগ্নি-২: দু’হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রমকারী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২১ মিটার লম্বা। ওজন ১৭ টন এবং এক হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
অগ্নি-১: এক টনেরও বেশি ওজনের পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২ মিটার দীর্ঘ এই ক্ষেপণাস্ত্র। ভার কিছুটা কমিয়ে এর পাল্লা বাড়িয়ে নেওয়া যায়।
পাকিস্তান- শাহিন-৩: এই ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যমাত্রা দু’হাজার ৭০০ কিলোমিটার। পূর্ব পাকিস্তান থেকে ছোড়া হলে আন্দামান-নিকোবরে আঘাত হানতে পারবে। আর বালুচিস্তান থেকে ছোড়া হলে ইজরায়েলেও আঘাত হানা যাবে।
হাতফ-৬/শাহিন-২: ১৭.৫ মিটার দীর্ঘ এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ২৫ হাজার কেজি। উচ্চশক্তি সম্পন্ন বিস্ফোরক এবং পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
হাতফ-৫/ঘৌরি: ১৫ হাজার ৮৫০ কেজি ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্রের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ মিটার। এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ৭০০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম।
হাতফ-৪/শাহিন-১: ১২ মিটার দৈর্ঘের এই ক্ষেপণাস্ত্র ৭৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ৩৫ কিলো টন ওজনের পরমাণু অস্ত্র এবং রাসায়নিক বিস্ফোরক বইতে সক্ষম।
হাতফ-৭/বাবর: এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন এক হাজার ৫০০ কেজি। দৈর্ঘ্য ৬.২ মিটার। ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। ৩৫০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।