‘নির্ভয়’ ক্ষেপণাস্ত্র— ফাইল চিত্র।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) চিনা ফৌজের মোকাবিলায় এ বার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘নির্ভয়’ মোতায়ন করল ভারতীয় সেনা। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও)-এর তৈরি ১,০০০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চিন অধিকৃত তিব্বত এবং শিনজিয়াং প্রদেশের অধিকাংশ অঞ্চলই চলে এল।
ডিআরডিও-র দাবি, ৬ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হেনে শত্রু নিকেশের ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯০ শতাংশ। লাদাখের এলএসি-তে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি ইতিমধ্যেই ২,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে বলে খবর সামনে এসেছে। তারই জবাবে এই পদক্ষেপ করল ভারত।
২০১৩-র ১২ মার্চ ‘নির্ভয়’-এর উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই উৎক্ষেপণের পরই মাঝপথে বিগড়ে যায় সেটি। এর পর ২০১৪-য় সফল উৎক্ষেপণ হয় এই ক্ষেপণাস্ত্রের। ২০১৫ এবং ’১৬-তে দু’বার উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, কিন্তু তখন নিখুঁত লক্ষ্যভেদে সফল হয়নি ‘নির্ভয়’।
আরও পড়ুন: যোগী আমলে ধর্ষণ করে খুনের রমরমা ‘উত্তমপ্রদেশে’
২০১৭-য় ‘নির্ভয়’-এর পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। এর পরে একাধিক বার এই ভূমি থেকে ভূমি ‘সাবসনিক’ (শব্দের চেয়ে কম গতিবেগ সম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে ডিআরডিও। এলএসি-এ এবার ‘সীমিত সংখ্যা’য় সেই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে গাড়িতে তুলে দ্রুতগতিতে উধাও পুলিশ
গত বছর এপ্রিলে চূড়ান্ত পরীক্ষার পরে ‘নির্ভয়’-কে ভারতীয় সেনার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন ‘প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় বিষয়ক কমিটি’। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় টানাপড়েনের আবহেই বুধবার ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে ভারত।