অপ্রতিরোধ্য: লর্ডসে সেঞ্চুরি করার পরে রুট। শনিবার। ছবি: রয়টার্স।
লর্ডসে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, পিচে ভারী রোলার ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে জো রুট। সাধারণত ব্যাটিং দল কখনওই ভারী রোলার ব্যবহার করতে চায় না। তাতে মাটির তলা থেকে জল উঠে আসে পিচে। সাহায্য পেতে শুরু করে পেসাররা। কিন্তু প্রথম সেশনের খেলা দেখে বোঝা গেল, পিচের তলা থেকে কোনও ভাবেই জল ওঠেনি। অর্থাৎ পিচ শুষ্ক। এই শুষ্ক পিচে কেন খেলবে না আর অশ্বিন?
কিংবদন্তি সুনীল গাওস্কর শনিবারও বললেন, অশ্বিনকে রেখেই দল গড়া উচিত ছিল বিরাটের। কারণ, অভিজ্ঞ অফস্পিনারের হাতে বৈচিত্র অনেক বেশি। অফস্পিনার হলেও ওর হাতে আছে ফ্লোটার, ক্যারম বলের মতো ডেলিভারি। উইকেটে থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানকে পরীক্ষার মধ্যে রাখার জন্য এই বৈচিত্রই যথেষ্ট।
অশ্বিন খেললে ব্যাটিং বিভাগেও শক্তি বাড়ে। ম্যাচের পঞ্চম দিনে অশ্বিনের অভাব না টের পায় ভারত। ইশান্ত যদিও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভোলেনি। জস বাটলারকে ফেরালো ওর ইনসুইং। মইন আলি ও স্যাম কারেনকেও পরপর দু’বলে ফিরিয়ে দিল অভিজ্ঞ পেসার। তবে উইকেট পেতে বেশ কিছুটা দেরি করে ফেলল ভারতীয় পেসার।
শনিবার সকালের সেশনে অন্তত দু’টি উইকেট পড়লেই ম্যাচের রং পাল্টে যেতে পারত। কিন্তু জো রুটের পছন্দের অঞ্চলে ফিল্ডার না রেখে ওকে অনায়াসে রান করতে দেওয়া হল। স্টান্স পরিবর্তন করে রুট এখন অফস্টাম্পে অনেক বেশি শক্তিশালী। লেগস্টাম্পেও খেলতে আর সমস্যা হচ্ছে না। সাধারণত থার্ডম্যান ও পয়েন্ট অঞ্চল দিয়েই বেশির ভাগ রান করে রুট। ৩০ শতাংশ রান এসেছে এই অঞ্চল দিয়েই। বিরাট কোহালি ভাল মতো হোমওয়ার্ক করলে সকাল থেকেই থার্ডম্যান অঞ্চলে ফিল্ডার রাখত। পয়েন্টের ফিল্ডারকেও বেশি বাঁ-দিকে সরিয়ে দিত না। ট্রেন্ট ব্রিজে যে রকম ফিল্ডিং সাজানো হয়েছিল, সেই ছকে লর্ডসে ফিল্ডিং সাজালে সাফল্য আসা কঠিন। তৃতীয় দিন উইকেট তোলার জন্য ঝাঁপানোর আগে রান আটকানোর কথা ভাবা উচিত ছিল ভারত অধিনায়কের। রান করার রাস্তা বন্ধ করে দিলে হতাশ হয়ে উইকেট ছুড়ে দিত ব্যাটসম্যানেরা।
ভারতীয় পেসাররাও অতিরিক্ত স্টাম্পের বাইরে বল করে গিয়েছে। আরও একটি বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বোলিং কোচ ভরত অরুণের। দু’টি টেস্ট মিলিয়ে মোট ২০টির উপরে নো-বল করেছে বুমরা। দিনের শেষে পেসাররাই যদিও ম্যাচে ফেরাল ভারতকে। ২৭ রানে এগিয়ে থেকে ইনিংস শেষ করল ইংল্যান্ড। রবিবার সকালে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে হবে ভারতকে।