প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
লকডাউন শেষ হতে এখনও আট দিন বাকি। কিন্তু আজ বিজেপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় কর্মীদের পাঁচ দফা বার্তার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জানালেন, সামনে আরও লম্বা লড়াই বাকি। সে জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দলের সদর কার্যালয় থেকে কর্মীদের উদ্দেশে বার্তায় পাঁচটি কাজে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, পঞ্চ আগ্রহ। প্রথম, কোনও গরিব মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ওই কাজ করার সময় ঘরে তৈরি মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়, এক জন কর্মীকে অন্তত পাঁচটি মাস্ক তৈরি করে তা বিতরণ করতে হবে। তৃতীয়, জরুরি অবস্থায় যে চিকিৎসক, নার্স, সাফাইকর্মী, ব্যাঙ্ক-পোস্টকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন এমন ৪০টি ঘরে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিতে হবে। চতুর্থত, সরকারের ‘আরোগ্য সেতু’ মোবাইল অ্যাপটি ৪০ জনের মোবাইলে ডাউনলোড করা ও তাদের নিজেদের তথ্য জমা দেওয়া নিশ্চিত করা। পঞ্চম, প্রধানমন্ত্রীর ‘পিএম কেয়ার’ তহবিলে অর্থ সাহায্য দেওয়ার প্রশ্নে কর্মী পিছু ৪০ জনের দান নিশ্চিত করা।
দলীয় কর্মীদের যে পাঁচ দফা দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী সঁপেছেন, তাতে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে সিপিএম নেতৃত্ব। দলের পলিটবুরো বিবৃতিতে জানিয়েছে, লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনিই দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য চাঁদা তোলা, খাবার খাওয়ানোর দায়িত্ব দিলেন। এতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিজের নির্দেশকে অমান্য করতে দলের কর্মীদের উৎসাহ দিলেন। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে জিততে হলে অবিলম্বে ওই আবেদন বাতিল করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।”
সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তায় মোদী বলেন, লকডাউনের সময়ে দেশের মানুষ পরিণত মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়ে যে ভাবে অনুশাসন মেনে চলেছেন তা প্রশংসনীয়। তবে এখনও অনেক লম্বা লড়াই বাকি রয়েছে বলেও দেশবাসীকে সতর্ক করে রাখেন প্রধানমন্ত্রী। করোনাকে হারাতে আজ ফের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার উপরে জোর দেন তিনি। মোদী বলেন, ভারত যে ভাবে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে, তার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকেও করোনা মোকাবিলায় সরকার ঠিক পথে এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সরকার ওই দাবি করলেও কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা অভিযোগ, রাহুল গাঁধী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই করোনা প্রশ্নে একাধিক বার সরকারকে সতর্ক করেছিলেন। সে সময়ে শোনেনি সরকার। উল্টে কেন্দ্র ব্যস্ত থেকেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর নিয়ে। কংগ্রেসের দাবি, করোনা মোকাবিলায় অন্তত পাঁচ সপ্তাহ দেরিতে তৎপর হয়েছে সরকার। যার ফলে আজ মাস্ক-গ্লাভসের অভাবে ভুগছেন চিকিৎসকেরা। দেশে পর্যাপ্ত পরীক্ষার কিট নেই। ভেন্টিলেটরের সুবিধা পাচ্ছেন না বহু মানুষ।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)