প্রতীকী ছবি।
এই গতিতেই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ২০২৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত। একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্কের অর্থনৈতিক গবেষণা সংক্রান্ত বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছতে পারে ৬.৭ থেকে ৭.৭ শতাংশে। অবশ্য বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা পারিপার্শ্বিক কারণে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশ থাকতে পারে স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে অমুমান করা হচ্ছে।
স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে দেশের অর্থনীতি যে দিশায় চলছে, তাতে ২০২৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। রিপোর্টে এ-ও জানানো হয়েছে ২০১৪ সালে দেশে ২.৬ শতাংশ জিডিপি শেয়ার থাকলেও, ২০২২ সালে এর পরিমাণ হয় ৩.৫ শতাংশ। ২০২৭ সালের মধ্যেই দেশে জিডিপির পরিমাণ ৪ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান স্টেট ব্যাঙ্কের। সেক্ষেত্রে জার্মানির জিডিপির পরিমাণকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত। ২০২৯ সালের মধ্যে জাপানকেও টপকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে ভারত।
শুক্রবারই একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনকে ছাপিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার যেখানে পৌঁছেছে, তাতে অনায়াসেই তাকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বলা যায়। যদিও স্টেট ব্যাঙ্ক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা পেয়ে গিয়েছিল ভারত।
স্টেট ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দেখাচ্ছে না বহুজাতিক সংস্থাগুলি। সেক্ষেত্রে নতুন বিনিযোগ টেনে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ থাকছে ভারতের সামনে।