রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ক্ষমতা কম হতে পারে, কিন্তু করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ভারত বিশ্বের সেবায় নিয়োজিত। রাষ্ট্রপুঞ্জে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, বিশ্বে প্রথম ডিএনএ টিকা ভারতই তৈরি করেছে। এই টিকা ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ নিতে পারে। এই টিকা ভারত রফতানি করতেও প্রস্তুত বলে জানান মোদী।
শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে চতুর্থবার বক্তৃতা করেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ‘‘ভারতের ক্ষমতা সীমিত হতে পারে। তবে ভারত ‘সেবাই পরম ধর্ম’— এই নীতিতে বিশ্বাসী। এই নীতিকে আদর্শ মেনেই করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির জন্য নিজেদের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে ভারত।’’ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিকে ভারতে এসে টিকা তৈরির প্রস্তাবও দেন প্রধানমন্ত্রী।
গত মাসেই ভারতের তৈরি বিশ্বের প্রথম ডিএনএ টিকাকে করোনাভাইরাসের টিকা হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিএ। জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি ওই টিকার বিশেষত্ব হল, তা করোনাভাইরাসের জিনগত বস্তুকে ব্যবহার করেই তার প্রতিরোধ করে। ভাইরাসের ওই জিনগত উপাদান এমন কিছু প্রোটিন তৈরি করে যাতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাড়া দেয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি ডিএনএ টিকার ব্যাপারে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘ডিএনএ টিকার পাশাপাশি ভারত এম আরএনএ টিকা তৈরির কাজেও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই টিকা নাক দিয়ে নেওয়া যায়। এই টিকা তৈরির জন্য নিয়ত পরিশ্রম করছেন আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তৃতায় শনিবার মোদী বিদেশে টিকা রফতানি ফের শুরু করার ঘোষণাও করেন। মোদী বলেন, ‘‘মানবসভ্যতার প্রতি ভারত তার কর্তব্য পালন করে চলেছে। তার অঙ্গ হিসেবেই ভারত এবার বিদেশে টিকা রফতানিও ফের শুরু করবে। যে সমস্ত দেশের টিকা প্রয়োজন তাদের টিকা দেবে ভারত।’’ বস্তুত, শুক্রবারই চতুর্দেশীয় অক্ষের রাষ্ট্রনেতাদের মোদী জানিয়েছিলেন, অক্টোবর শেষ হওয়ার আগেই ৮০ লক্ষ করোনা টিকা রফতানির অনুমোদন দেবে ভারত। মার্চেই এ ব্যাপারে চার দেশ অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ীই ওই টিকা বিদেশে পাঠাবে ভারত।