গত মাসে ইন্ডিয়া হাউসে (লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশন এ নামেই পরিচিত)-এর সামনে খলিস্তানি পতাকা, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় সেখানে ঢুকে পড়েন অমৃতপালের বহু সমর্থক। —ফাইল চিত্র।
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ‘খলিস্তানপন্থীদের’ ভাঙচুরের ঘটনায় নীরব কেন ব্রিটেন? এর প্রতিবাদে ব্রিটেনের সঙ্গে ‘বাণিজ্য আলোচনা সাময়িক ভাবে স্থগিত’ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ব্রিটিশ সরকারের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সোমবার এই দাবি করেছে সে দেশের দৈনিক ‘দ্য টাইমস’। যদিও এ খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে জানাচ্ছে মোদী সরকারের একটি সূত্র।
‘দ্য টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি, ব্রিটিশ সরকারের এক সূত্রের কথায়, ‘‘ব্রিটেনে খলিস্তানি জঙ্গিদের বিক্ষোভের ঘটনার প্রতিবাদ না করা পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে রাজি নন ভারতীয়েরা।’’
গত মাসে ইন্ডিয়া হাউসে (লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশন এ নামেই পরিচিত)-এর সামনে খলিস্তানি পতাকা, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় সেখানে ঢুকে পড়েন অমৃতপালের বহু সমর্থক। অভিযোগ, ইন্ডিয়া হাউসে ভাঙচুর করা ছাড়াও, সেখানকার দোতলার বারান্দা থেকে ভারতের জাতীয় পতাকা খুলে ফেলেন তাঁরা। খলিস্তানপন্থী শিখনেতা অমৃতপাল সিংহের বিরুদ্ধে পঞ্জাব পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদেই এ হেন প্রতিবাদ বলে দাবি।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক। লন্ডনে ইন্ডিয়া হাউসের সুরক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত।
লন্ডনের পাশাপাশি, আমেরিকার ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসগুলিতেও খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিদেশের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাসগুলিতে হামলা নিয়ে সরব হয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। গত মাসে ভারত সাফ জানিয়েছিল, ভাঙচুর বা হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকার পদক্ষেপ করবে, এমনই আশা করে তারা। ২৪ মার্চ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীও জানিয়েছিলেন, বিদেশে ভারতীয় দূতাবাসগুলিতে এ ধরনের ঘটনা রুখতে সচেষ্ট হবে সে দেশগুলির সরকার। ঘটনাচক্রে, লন্ডনের ঘটনার পর নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে নিরাপত্তার কারণে রাখা ব্যারিকেডও সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও পুলিশের দাবি ছিল, পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে।