ছবি সংগৃহীত।
ব্রিটেন থেকে আসা করোনাভাইরাসের নয়া স্ট্রেনটি সব রকম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন-সহ চিহ্নিত ও পৃথক করতে ভারত সফল হয়েছে বলে জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। আইসিএমআর জানিয়েছে, ব্রিটেন ফেরতদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি করোনার এই নয়া স্ট্রেনের ‘কালচার’ করতে পেরেছে। ‘কালচার’ করার অর্থ গবেষণাগারের নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভাইরাসের কোষের গঠনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা। যা সফল ভাবে করা সম্ভব হওয়ায় সার্স-কোভ-২-এর প্রতিষেধক তৈরির কাজ সহজ হবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এক টুইটে আইসিএমআর দাবি করেছে, ভারত ছাড়া আর অন্য কেউ এখনও নয়া স্ট্রেনের ‘কালচার’ করতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আজ দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৭৭ জন।
এ দিকে, বছরের শুরুতেই দু’টি প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। শনিবারই সারা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে টিকাকরণের মহড়া। দিল্লিতেও রবিবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সাত মাসে সর্বনিম্ন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৪ জন। পর পর দু’দিন দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র নীচেই ছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। যার ফলে করোনা রোগীদের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যা সংখ্যাও কমানোর কথা বলেছেন তিনি।
পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিংহ সিধু আজ বলেছেন, সে রাজ্যে প্রথম দফায় কোভিডের টিকা দেওয়া হবে দেড় লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে। তাঁদের পরেই টিকা পাবেন পুলিশ, আধাসেনা, সাফাইকর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
এ দিকে, চেন্নাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে মোট ৮৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বরে প্রথম সংক্রমণ ধরা পরে এক শেফের।