প্রতিবাদ ভুটানবাসীদের।
গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সংঘাত রক্তপাত পর্যন্ত পৌঁছেছে। তার মধ্যেই চিন হঠাৎ করে ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত-বিতর্ককে উস্কে দিল। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের অনুমান, ভুটান নেহাতই উপলক্ষ মাত্র। আসল নিশানা সেই ভারত। গালওয়ানের পরে এ বার অরুণাচল সেক্টর নিয়ে চাপ তৈরির পূর্ব প্রস্তুতি এটা।
সম্প্রতি চিন-ভুটান সীমান্তের যে পূর্ব সেক্টর নিয়ে বেজিং বিতর্ক বাধিয়েছে, সেটি অরুণাচল প্রদেশেরও লাগোয়া। যে অরুণাচলকে ধারাবাহিক ভাবে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে আসছে বেজিং। চিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ভুটান এবং চিনের মধ্যে পশ্চিম ও মধ্য সেক্টর নিয়ে গত তিন দশক ধরে মতবিরোধ রয়েছে। এই নিয়ে দুদেশের মধ্যে বহু দফায় আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে অপেক্ষাকৃত শান্ত পূর্ব সেক্টরটিকে নিয়ে যে ভাবে তারা সক্রিয় হয়েছে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সাউথ ব্লক। ভারত অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আদৌ মুখ খুলছে না। গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সেনা পিছনোর যে প্রক্রিয়া সোমবার থেকে শুরু হয়েছে, তার মধ্যে কোনও জটিলতা সৃষ্টি হোক, এটা চায় না ভারতীয় সামরিক বাহিনী। বিশেষ করে চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুটানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত নিয়ে মতান্তরে কোনও ভাবেই তৃতীয় পক্ষ যেন নাক না গলায়। তবে গোটা বিষয়টির দিকে সতর্ক নজর রাখছে দিল্লি।
আরও পড়ুন: ডোভালের ফোনে অগ্রগতি, প্রশ্ন রেখেই সেনা সরাল ভারত-চিন