প্রতীকী ছবি।
ভারতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা টানা চারদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে শুক্রবার চার হাজারের সীমা ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৪১ জন।
এর আগে শেষ বার দৈনিক সংক্রমণ চার হাজারের সীমা ছাড়িয়েছিল গত ১১ মার্চ। জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ভারতের করোনা স্ফীতি তখন কিছুটা কমে এসেছে। শুক্রবার দেশের মোট করোনা রোগীর সংখ্যাও অনেকটা বেড়েছে। ভারতে এখন ২১ হাজার ১৭৭ জন করোনা রোগী রয়েছেন। এর আগে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে এই সংখ্যা ২১ হাজারের উপরে ছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দৈনিক করোনার হিসেব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩৬৩ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। যার মধ্যে পাঁচটি কেরলের অনথিভুক্ত মৃত্যু। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে। মহারাষ্ট্র, কেরল এবং নাগাল্যান্ডে একজন করে করোনা রোগী মারা গিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বেড়েছে বলে জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র। বেশ কিছু রোগীকে বাড়তি অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে।বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ফের হাসপাতালে ভর্তি নিয়েও উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলির মধ্যে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মহারাষ্ট্রে। কেরলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল সংক্রমণ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০০-র উপর সংক্রমণ বেড়ে কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৭০। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে বৃহস্পতিবারের হিসেব অনুযায়ী দৈনিক আক্রান্ত ছিলেন ১০৪১ জন। শুক্রবার সেই সংখ্যা বিশেষ বাড়েনি। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১০৪৫ জন।
সংক্রমণ বেড়েছে মহারাষ্ট্র এবং কেরলের লাগোয়া কর্নাটকেও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। দিল্লির দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৩। তবে এই সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ বাড়েনি। এ ছাড়া তামিলনাড়ুতে ১৪৫, উত্তরপ্রদেশে ১৫৭ এবং হরিয়ানায় ১৮৮ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত একদিনে। রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা যথাক্রমে ৬০ এবং ৫৭।