কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: পিটিআই।
শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেনশনের মুখে পড়লেন মোট ১৪১ জন সাংসদ। শুক্রবার পর্যন্ত সংসদের চলতি অধিবেশন চলার কথা। অধিবেশনের শেষ দিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করল ‘ইন্ডিয়া’। মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে পর সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে সংসদ থেকে ১৪১ জন সাংসদের সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনাকে নিন্দা করা হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন খড়্গে। পাশাপাশি, এই সিদ্ধান্তকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। মঙ্গলবার জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সকলকে একসঙ্গে লড়তে হবে। আমরা লড়াইয়ের জন্য তৈরি। সংসদে যে সকল বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার একটিও ভুল নয়। সংসদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পিছনে কারা জড়িত? কে তাঁদের ঢুকতে দিল? এ সবের উত্তর কেন্দ্রকে দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কক্ষে এসে সংসদ হানার বিষয়ে মুখ খুলুন। কিন্তু সেটা তাঁরা মানতে রাজি নন। মোদীজি নিজের কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বক্তৃতা দিচ্ছেন। কিন্তু লোকসভা বা রাজ্যসভায় আসার সময় পাচ্ছেন না।” তাঁর আরও সংযোজন, “প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করছেন তাঁদের চেয়ে ভাল ভাবে কেউ দেশ চালাতে পারবেন না। এই ধারণা ভাঙতে হবে। সাংসদদের সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনার নিন্দা করে আগামী ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।”
সংসদে হট্টগোলের জেরে মঙ্গলবার লোকসভায় ৪৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। গত সোমবার সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১৪ জন সাংসদকে। চলতি অধিবেশনের মতো আর কোনও অধিবেশনে কখনও এত জন সাংসদকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়নি। সংসদের ভিতরে অভব্য আচরণ, সংসদের গরিমা নষ্ট এবং স্পিকার (লোকসভার ক্ষেত্রে) এবং চেয়ারম্যান (রাজ্যসভার ক্ষেত্রে)-কে অবমাননার অভিযোগে এই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত বুধবার লোকসভায় রং-বাজি হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। গত সপ্তাহের পর সোম এবং মঙ্গলবারেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন তাঁরা।