প্রতীকী ছবি।
লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে। তার মধ্যেই বাণিজ্যিক পথে প্রত্যাঘাত করল ভারত। কেন্দ্রকে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির ক্ষেত্রে দরপত্রের প্রক্রিয়ায় চিনা সংস্থাগুলির ঢোকার পথ কার্যত বন্ধ করে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আজ এক সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত রয়েছে এমন দেশগুলির সংস্থাকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ (পিপিপি), রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, স্বশাসিত সংস্থার প্রকল্পে শামিল হতে গেলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিব্ধ করতে হবে। নথিবদ্ধকরণের জন্য সরকার একটি কমিটি তৈরি করবে। পাশাপাশি বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। রাজ্যগুলিকেও চিঠি লিখে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকার বা রাজ্য সরকারি সংস্থার প্রকল্পে শামিল হওয়ার আগে নথিবদ্ধকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ রাজ্য গঠন করবে। তবে সে ক্ষেত্রেও বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। এ জন্য ২০১৭-র আর্থিক বিধি সংশোধন করা হয়েছে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যে দেশগুলিকে ভারত সাহায্য করে সেগুলিকে এই তালিকা থেকে ছাড় দেওয়া হবে। সরকারি সূত্রের মতে, এর সুফল পাবে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার। এই নির্দেশের নিশানা যে চিন ও পাকিস্তান, তাতে সন্দেহ নেই। আগে বেশ কিছু চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
সরকারি সূত্রের মতে, সরাসরি চিনা সংস্থার পথে বাধা তৈরি করলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বিবাদ তৈরি হতে পারে। তাই চিনের কথা আলাদা ভাবে উল্লেখ না করে যে সব দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে সেগুলির কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই মন্ত্রকের অনুমোদনের বিষয়টি রাখা হয়েছে।