ছবি এএফপি।
যে পেট্রোলিং পয়েন্ট (পিপি)-১৪-কে ঘিরে প্রাণ হারাল ২০ জন সেনা, তার কাছে ফের ভারতের এলাকা দখল করে বসে পড়েছে চিন সেনারা। তারই মধ্যে ভারত জানিেয়ছে, লাদাখের স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টার ফল ভুগতে হতে পারে চিনকে।
সেনা সূত্রের খবর, নতুন পরিকাঠামো তৈরি না-করলেও, পয়েন্ট ১৪-সহ গোটা এলাকায় চিনা সেনার উপস্থিতির কারণে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-এ পৌঁছতে পারছে না ভারতীয় সেনারা। এ দিকে দু’দিনের সফর শেষে দিল্লি ফিরে আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন সেনাপ্রধান এম এম নরবণে। এর পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রাজনাথের। চিনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিস্রিও এ দিন বলেন, পূর্ব লাদাখে সমস্যা মেটানোর পথ একটাই। বেজিংকে বুঝতে হবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা হলে তার ফলও ভুগতে হবে। ভারতীয় বাহিনীর স্বাভাবিক টহলদারির পথে বাধা দেওয়া বন্ধ হলেই সমস্যা মেটানোর পথে হাঁটা সম্ভব।
গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় পিপি-১৪-এ চিনা সেনা পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা করায় দুপক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। পিছু হটে চিনারা। কিন্তু ১০ দিনের মধ্যে ফের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে ঘাঁটি গেড়েছে চিন সেনা। সেনা সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ফলেছে চিনারা। যার মধ্যে পড়েছে বটল-নেক পয়েন্ট বা ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট, ভারতের মধ্যে হলেও যা বর্তমানে চিনের দখলে। ওই ওয়াই জংশন পয়েন্ট থেকেই পিপি ১০, ১১, ১১এ, ১২ ও ১৩ যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু চিনা সেনারা বসে থাকায় আপাতত সেই এলাকায় পৌঁছতে পারছে না ভারতীয় সেনা। এর ফলে কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি বন্ধ রাখতে হয়েছে ভারতকে।
ওয়াই জংশন পয়েন্টটি থেকে লাদাখের ব্রুটসে ভারতীয় সেনার ছাউনি ৭ কিলোমিটার দূরে এবং ওই শহরের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে দারবুক-শাইয়োক-দৌলত বেগ ওল্ডি সড়ক, যা চিনের মাথাব্যথার কারণ। বছর দশেক আগেও চিনারা এক বার ব্রুটস পর্যন্ত ঢুকে আসে।