ছবি: রয়টার্স।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক উন্নতির জন্য এবং সীমান্তে শান্তি এবং সুস্থিতি ফেরাতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সেনা সরানোর প্রশ্নে ঐকমত্য হয়েছে ভারত এবং চিনের। অন্তত আজ দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’ (ডবলিউএমসিসি)-এর বৈঠকের পরে তেমনই দাবি করেছে বিদেশ মন্ত্রক।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এর আগে ৫ জুলাই দু’তরফের সীমান্ত সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি ফোনে কথা বলেন এবং একটি সমঝোতায় পৌঁছন। ভারত এবং চিন এ দিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিকে তুলে এনে সীমান্ত থেকে দ্রুত সেনা সরানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে। দু’পক্ষের সিনিয়র কমান্ডাররা এখনও পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বৈঠকে যে বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন তা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনের কথাও স্বীকার করা হয়েছে।’’ দ্রুত কমান্ডার পর্যায়ে আরও একটি বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সেই বৈঠকে সেনা সরানো এবং পশ্চাদপসরণের প্রশ্নে পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
আজও চিন প্রসঙ্গে সরব হয়ে সরকারের দিকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তিনি টুইট করে বলেছেন, ‘‘আমি সরকারকে কোভিড ১৯ এবং অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক করে গিয়েছি। তারা সে কথা উড়িয়ে দিয়েছে। আমি চিন নিয়েও সতর্ক করছি, সেটাও উড়িয়ে দিচ্ছে।’’ এর আগে তিনটি ভিডিয়ো ক্লিপে চিন প্রশ্নে মোদী সরকারের ‘ব্যর্থতাকে’ তুলে ধরেছেন তিনি। শুধু রাহুলই নন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমেরও বক্তব্য, ‘‘ভারত গত কাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে সীমান্তে শান্তি এবং সুস্থিতির জন্য তারা সম্পূর্ণ ভাবে চিনা সেনার পশ্চাদপসরণ এবং সেনা সমাবেশ কমানোর দাবি করছে। সেটা ভাল কথা। কিন্তু ৫ মে-র আগের স্থিতাবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে ভারত নীরব কেন?’