প্রতীকী চিত্র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সমস্যা দ্রুত মেটাতে ভারত ও চিন সম্মত হয়েছে বলে জানাল দিল্লি।
আজ বৈঠকে বসেন ভারত ও চিনের সীমান্ত সংক্রান্ত মেকানিজমের সদস্যেরা। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব। চিনের তরফে নেতৃত্ব দেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত সংক্রান্ত দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল হং লিয়াং। লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের পরে এ নিয়ে পঞ্চম বার আলোচনায় বসলেন এই মেকানিজমের সদস্যেরা।
বৈঠকের পরে চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দু’দেশের সেনার পিছু হটা যে পথে এগোচ্ছে তা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে দু’দেশই। এর পরেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘যে বিষয়গুলি নিয়ে সমস্যা রয়েছে, সেগুলি দ্রুত মেটাতে রাজি হয়েছে দু’দেশই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় দু’দেশের সেনার পিছু হটার প্রক্রিয়া শেষ করতে দু’পক্ষই পদক্ষেপ করবে।’’ অন্য দিকে পাকিস্তানে চরবৃত্তির মামলায় দোষী সাব্যস্ত কুলভূষণ যাদবের জন্য দিল্লি ভারতীয় আইনজীবী নিয়োগ করতে চায় বলে এ দিন জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায় মেনে কুলভূষণের অবাধ ও নিরপেক্ষ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে পাকিস্তানকে। তার আগে এই মামলা সংক্রান্ত সব নথি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া প্রয়োজন। কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের অবাধে দেখা করতে দেওয়াও প্রয়োজন।’’
চলতি মাসেই কুলভূষণের বিচারের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম। সেই বেঞ্চে কুলভূষণের জন্য আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ নিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর শুনানি হওয়ার কথা বলেও জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম। কিন্তু ভারতের দাবি, এই বিষয়ে পাকিস্তান সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি।