ফাইল চিত্র।
পূর্ব লাদাখ সীমান্তের অচলাবস্থা কাটাতে আজ ১৪তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন ভারত ও চিনের সেনাকর্তারা। আজ সকালে চিনের দিকে থাকা চুসুল-মলডো পয়েন্টে বৈঠকটি হয়।
দু’দেশের সেনাকর্তাদের মধ্যে আজ বৈঠক যখন চলছে সে সময়ে লাদাখ সীমান্তে বিপদের সম্ভাবনা এখনও রয়ে গিয়েছে বলে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান এম এম নরবণে। তিনি বলেন, “লাদাখে দু’পক্ষই পারস্পরিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সেনা সরানোর কাজ করছে ঠিকই, কিন্তু ওই সীমান্তে বিপদের ঝুঁকি রয়েই গিয়েছে।” তাঁর কথায়, সেনা পিছিয়ে আসার কাজ শেষ হলে তবেই লাদাখে সেনা কমানোর কথা ভাবা হবে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে ভাবে দুই দেশ লাদাখ সীমান্তে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করেছে, তা ছেড়ে পিছিয়ে আসার পক্ষপাতী নয় কোনও পক্ষই। দু’দলের মধ্যে চিনা সেনা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় এই মুহূর্তে কোনও ভাবে নিজেদের অবস্থান ছাড়তে নারাজ বেজিং। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত সেই কারণেই বিপদ রয়ে গিয়েছে বোঝাতে চেয়েছেন সেনাপ্রধান।
আজ দু’দেশের বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধি ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। লাদাখের ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি শাখার দায়িত্ব পাওয়ার পরে এটিই তাঁর প্রথম বৈঠক। সূত্রের মতে, গত জুলাইয়ে হট স্প্রিং এলাকায় দু’পক্ষ সেনা সরাতে রাজি হয়েছিল। উভয় পক্ষের সম্মতিতে দু’দেশের সেনা পিছিয়ে আসে। তার পরে ধাপে ধাপে ডেপসাং ও ডেমচক এলাকা থেকে চিনকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলে ভারত। সূত্রের মতে, আজকের বৈঠকেও হট স্প্রিং এলাকায় পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে চিনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায় ভারত। এ ছাড়া ডেপসাং এলাকায় চিনা সেনা যে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে, তাদের সেই অবস্থান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। ওই এলাকায় চিনা সেনার উপস্থিতির কারণে ভারতের কাছে রণকৌশলগত ভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দৌলত বেগ ওল্ডি এয়ার স্ট্রিপ কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চিনা সেনার উপস্থিতির কারণে সেগুলিতে নজরদারি চালাতে পারছে না ভারত। বৈঠকে ভারতের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে চিন। কিন্তু শুধু সামরিক আলোচনায় সমস্যার কতটা সমাধান হবে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে।