ডোকলাম বিতর্ক এখন অতীত। ভারত-চিনের সুসম্পর্ক একই রকম রয়েছে। সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই দাবি করলেন কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল মা ঝানউই।
ঝানউইয়ের কথায়, ‘‘ডোকলাম সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। কিছু ভ্রান্ত খবরের জেরে সমস্যা তৈরি হয়। আমরা যেটা করছি, সেটাকেই ভারতকে আক্রমণ হিসেবে
প্রচার করা হচ্ছে। সেটা ভুল।’’ তবে, ভ্রান্ত খবর কারা করছে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি ঝানউই। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি খুব জটিল। মন্তব্য করব না।’’
ঝানউই-এর বক্তব্যকে বেদবাক্য হিসেবে মেনে নিতে অবশ্য এখনই নারাজ বিদেশ মন্ত্রক, পরিস্থিতিও সে রকম নয়। সম্প্রতি চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সুষমা স্বরাজের বৈঠকের পর আপাত ভাবে ঐক্যের ছবিই তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেই বেজিং থেকে বিবৃতি দিয়ে কিছুটা হুমকির স্বরে বলা হয়েছিল, ডোকলাম নিয়ে যে ভুল করেছে ভারত তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। পাশাপাশি ডোকলাম সীমান্তে আবারও চিনা সেনা সমাবেশের খবর আসছে। তবে ভারত অবশ্যই চিনের সঙ্গে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার জন্য সক্রিয়। তাই ঝানউই-এর মন্তব্যকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইতিবাচকই বলা হচ্ছে।
ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে কলকাতার চিনা কনস্যুলেট এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যার নাম ‘নলেজ টেস্ট’। যেখানে পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। অনলাইন ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দুই যুবককে চিনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক রাখার জন্য চিন শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটনের মতো ‘সফট স্কিল’-এর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। যাতে এই সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।