প্রতীকী ছবি।
দূষণহীন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে ভারতে। ভারতের এই সম্ভাবনা নিয়ে এমনই আশার কথা শোনালেন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের পরিবেশ সম্পর্কিত বিশেষ দূত জন কেরি। এই সম্ভাবনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কাজ করার এবং ভারত সফরে আসার ইচ্ছেপ্রকাশও করেছেন কেরি।
উষ্ণায়ন নিয়ে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে আছে উদ্বেগ। সেই সঙ্কট থেকে মুক্তির একটি উপায়, পরিবেশে কার্বন নির্গমন কমানো। তার চেয়েও উত্তম বিকল্প হল, অপ্রচলিত ও দূষণহীন শক্তি উৎপাদন। ভারতের মতো জনবহুল দেশে এই দূষণ আরও বেশি এবং সেই কারণেই বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র রয়েছে ভারতে। এক দিকে যেমন রয়েছে ভূ-প্রাকৃতিক বৈচিত্র, তেমনই অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি কম হওয়ায় উৎপাদন খরচও কম। তাই এই অপ্রচলিত ক্ষেত্রে বিনিয়োগে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ। সেই সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেই ভারতের সঙ্গে এই অপ্রচলিত তথা দূষণমুক্ত শক্তি ক্ষেত্রে আরও নিবিড় ভাবে কাজ করতে আগ্রহী আমেরিকা।
বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং আশু বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে ধীরে ধীরে সব দেশই ‘ক্লিন এনার্জি’র দিকে ঝুঁকছে। আর সেই উত্তরণে ভারত অগ্রগণ্য হতে পারে বলে মনে করেন কেরি। বৃহস্পতিবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার) কেরি বলেছেন, ‘‘আমরা মনে করি, এই পুরো প্রচেষ্টায় ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে উঠে আসতে পারে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই ধরনের যে কোনও বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি। আমাদের দুই দেশ, দুই বৃহত্তম গণতন্ত্র হাতে হাত ধরে পরিবেশের এই আসন্ন বিপদ থেকে মুক্তির দিশা দেখাতে গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে।’’
গত মাসেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাইডেন। তাঁর প্রশাসনে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পরিবেশ বিষয়ক একমাত্র আধিকারিক এই কেরি। ওয়ার্ল্ড সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট সামিট ২০২১-এ কেরির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা করে কেরি আরও বলেন, ‘‘সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ-সহ অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনে আপনি অবিসংবাদিত ভাবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর এই উদ্যোগ শুধু ভারত নয়, উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের জন্যই অত্যন্ত সময়োপযোগী।’’