পাকড়াও: বর্ণিকা হেনস্থায় অভিযুক্ত বিকাশ বরালা ও আশিস কুমারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাছে পুলিশ। বুধবার চণ্ডীগড়ে। ছবি: পিটিআই।
মাঝরাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে চণ্ডীগড়ের বর্ণিকা কুণ্ডূর মতোই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে গুরুগ্রামের বছর পঁচিশের এক তরুণীকে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও কাউকে ধরা যায়নি বলে জানিয়েছেন পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ওই তরুণী।
বর্ণিকা কুণ্ডূর ঘটনা নিয়ে বিতর্কে এমনিতেই তোলপাড় গোটা দেশ। গত কাল গ্রেফতারও করা হয়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত হরিয়ানার বিজেপি সভাপতির ছেলে বিকাশ বরালাকে। তার তিন দিনের মধ্যেই আবার একই রকম ঘটনা। সোমবার মধ্যরাতে গুরুগ্রামের সেক্টর ১৮-এর অফিস থেকে নিজের স্কুটারে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তরুণী। তাঁর বক্তব্য, কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, দিল্লি-গুরুগ্রাম রোডে একটি গাড়ি তাঁর স্কুটারের পিছু নিয়েছে। এবং সামান্য সময়ের জন্য নয়। টানা কুড়ি মিনিট তিন কিলোমিটার ধরে তাঁকে ধাওয়া করা হয়েছে বলে দাবি ওই তরুণীর।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র চায় মার্চেই শেষ গ্যাস-ভর্তুকি
নানা ভাবে তাঁর আশপাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে গিয়ে চিৎকার করে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে চলছিল অকথ্য গালিগালাজ। ওই সময়ে ভয় পেলেও কোনওমতে মাথা ঠান্ডা রেখে স্কুটার নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। অতুল কাটারিয়া চক নামে একটি জায়গার কাছে শেষমেশ হাল ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তরুণী তখনকার মতো কাছাকাছি থানায় গেলেও পুলিশকে ওই দুষ্কৃতীদের গাড়ির নম্বর ঠিক করে বলতে পারেননি তিনি। তাঁর শুধু মনে ছিল, ‘এইচআর-৫৭।’
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়াড়ের সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণী। তার পর পুলিশ পিছু নেওয়ার মামলা দায়ের করেছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়া গেলে তেমন কিছুই হয়তো করা সম্ভব হবে না।’’ ঘটনার পর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই তরুণী, তেমনই জানিয়েছেন মেয়েটির প্রেমিক। ওই ব্যক্তির দাবি, ‘‘সাধারণত ওর কাজের সময় রাত সাড়ে দশটা থেকে সকাল আটটা। সোমবার শরীর ভাল লাগছিল না বলে ও একটু তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে যায়। তার পরেই এই ঘটনা।’’