বিচারপতি সিএস কারনান। ছবি: সংগৃহীত।
বেনজির পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আপাতত কোনও মামলার বিচার করতে পারবেন না অভিযুক্ত ওই বিচারপতি।
যাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে তিনি বিচারপতি সিএস কারনান। তিনি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। বিচারপতি কারনানের পাঠানো তালিকায় সুপ্রিম কোর্টের কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচরপতির নাম রয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের কয়েক জন কর্মরত বিচারপতির নামও সেখানে রয়েছে। এঁরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করে বিচারপতি কারনান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের অভিযুক্ত বিচারপতিকে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির এই চিঠিকে আদালত তথা বিচারবিভাগের চূড়ান্ত অবমাননা হিসেবেই দেখছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জেএস খেহর এবং অন্য সিনিয়র বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত সাত সদস্যের বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করেছে। শুনানিতে ভারত সরকারও বিচারপতি সিএস কারনানের বিপক্ষেই দাঁড়িয়েছে। বিচারবিভাগের সামগ্রিক অবমাননা রুখতে বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করার পক্ষে জোর সওয়াল করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি।
আরও পড়ুন: বাড়ির মধ্যেই ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল জয়াকে: বিস্ফোরক অভিযোগে সরগরম চেন্নাই
সাত সদস্যের বেঞ্চ বুধবার বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে একটি নোটিস জারি করেছে। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে না। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে। সে দিন বিচারপতি কারনানকে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চের সামনে হাজিরা দিতে হবে। কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে।
বিচারপতি সিএস কারনান এই প্রথম বার বিতর্কে জড়াননি। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আসার আগে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম তাঁকে বদলি করার পর বিচারপতি কারনান নিজেই নিজের বদলিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। তাঁর দেওয়া বিভিন্ন রায় নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক হয়েছে।