—প্রতীকী ছবি।
মধ্যপ্রদেশের পরে এ বার রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি।
রবিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সেখানে ছত্তীসগঢ়ের ৬৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ও রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ৬৫টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’টি রাজ্যেই একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদকে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নামাতে চলেছে বিজেপি।
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সম্প্রতি বিজেপি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ ৭ জন সাংসদকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরও রয়েছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, রাজস্থানে বিজেপির নেতা, কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতকে প্রার্থী করা হতে পারে। শেখাওয়াত বিজেপিতে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধ শিবিরের নেতা। বসুন্ধরা দলের মধ্যে এখন কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন। বিজেপির অধিকাংশ নেতাই মনে করছেন, বিজেপি রাজস্থানে ক্ষমতায় এলে শেখাওয়াতই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বসুন্ধরা রাজেকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে আগেভাগেই তাঁকে হারের মুখে ঠেলে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা চলছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে বিজেপির সাংসদ কিরোরিলাল মীনা, বাবা বালকনাথ, রাজপরিবারের দিয়া কুমারীকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করা হতে পারে। তবে রাজস্থান থেকে আসা কেন্দ্রের আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করার সম্ভাবনা কম।
ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটের ৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি আগেই ২১টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। রবিবার বাকি ৬৯টি আসনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপি সূত্রের খবর, ছত্তীসগঢ়েও তিন-চার জন সাংসদকে প্রার্থী করা হতে পারে। রাজ্য থেকে কেন্দ্রের এক মন্ত্রীকেও প্রার্থী করার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও ছত্তীসগঢ়ে ভূপেশ বঘেলের কংগ্রেস সরকারকে এখনই ক্ষমতা থেকে হটানো কঠিন বলে বিজেপি নেতৃত্বের অধিকাংশের মত।
কংগ্রেস এই তালিকা দেখে নিয়েই নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চাইছে। বিজেপির এই রণকৌশল নিয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ সম্প্রতি বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী চাইছেন, তাঁর সরকার সম্পর্কে জনতার অসন্তোষ যে তৈরি হয়েছে, তা তাঁর মন্ত্রী, সাংসদদের উপরে বেরিয়ে যাক। তাই তিনি তাঁদের
বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করে দিচ্ছেন। তাঁরা হেরে গেলেও মোদীর কিছু এসে যায় না। তিনি শুধু নিজের হার বাঁচাতে চান। বিজেপি সূত্রের অবশ্য পাল্টা যুক্তি, এর আগে ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটেও সাংসদ-মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে প্রার্থী করা হয়েছিল। তিনি জয়ীও হন।