গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বেআইনি মদের কারবার ঠেকাতে সীমানা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের কয়েক জন কর্মী এবং আধিকারিক সীমানা পেরিয়ে উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। এর পর তাঁরা স্থানীয়দের মদ কিনতে বাধা দেওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
অভিযোগ, বিহার পুলিশ জোর করে এক যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কুশীনগর জেলার স্থানীয় তমকুড়িরাজ থানার পুলিশকর্মীরা বাধা দেন। সে সময় দু’রাজ্যের পুলিশকর্মীদের সংঘর্ষও হয়। ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে কুশীনগর জেলা পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের অভিযোগ, তাদের না জানিয়েই সীমানা টপকে অভিযান চালিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পুলিশ। যা বেআইনি। বিহার পুলিশ যে গাড়িটিতে চড়ে সীমানা টপকে হানা দিতে এসেছিল, তাতে কোনও নম্বর প্লেট ছিল না বলেও অভিযোগ। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতেও ওই নম্বরহীন গাড়ির সামনে দু’রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের উত্তেজিত ভাবে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছে। বিহারে নীতীশের দল জেডিইউ সরকার চালাচ্ছে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’ গড়ে। উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পুরো ঘটনাটি ‘রাজনৈতিক রং’ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছিল ২০১৬ সালে। সে সময় জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। তিনি দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি। তার পর কেটে গিয়েছে সাত বছর। কিন্তু বিহার আদৌ মদমুক্ত হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে রমরমিয়ে চলছে মদের কালোবাজারি। চলতি ভাষায়, ‘ব্ল্যাকে’ মদ বিক্রি। পড়শি দুই রাজ্য ঝাড়খণ্ড উত্তরপ্রদেশ থেকে চোরাপথে সীমানা পেরিয়ে বিহারে মদ আনা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, বিহার লাগোয়া উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের জনপদগুলিতে মদের দোকানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি।