বাবার লালসার শিকার তরুণী। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
লকডাউনের মধ্যে দু’-দু’বার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বাবা। আর দাঁড়িয়ে থেকে এ কাজে বাবাকে সহযোগিতা করেছে্ন মা। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে এমনই অভিযোগ করলেন মধ্যপ্রদেশের এক তরুণী। গত ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণা হওয়ার প্রথম ১৬ দিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন।
মোরেনা জেলার বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৬ মার্চ রান্নাঘরের কাজ সারছিলেন তিনি। সেই সময় পিছন থেকে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অভিযুক্ত। টানতে টানতে ঘরে নিয়ে গিয়ে বিছানার সঙ্গে বেঁধে ফেলেন তাঁকে। যাতে চিৎকার করতে না পারেন, তার জন্য মা এসে তাঁর মুখে কাপড় ঠুসে দেন। তার পর মায়ের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করেন বাবা। তাতে বাধা দেওয়া তো দূর, বরং এতে 'বিয়ের পর কষ্ট কম হবে' বলে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন মা।
নির্যাতিতার দাবি, ধর্ষণের পর ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয় তাঁকে, যাতে কোনও ভাবে তিনি পুলিশে খবর দিতে না পারেন। বেশ কয়েক দিন সে ভাবে থাকার পর ১০ এপ্রিল বাড়ি থেকে পালিয়ে এক পিসির বাড়ি চলে যান তিনি। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে এনে ফের ধর্ষণ করেন বাবা। শেষমেশ তাঁর দিদি মহিলা নির্যাতনের জন্য যে আপৎকালীন নম্বর রয়েছে, তাতে ফোন করে গোটা ঘটনা খুলে বলেন। তার পর পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ ১ লক্ষ কোটি: অর্থমন্ত্রী
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের ফেরাতে রাজ্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত, কেন্দ্রকে জানাল নবান্ন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার গালে কামড়ের দাগ মিলেছে। শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলে যেমন দাগ হয়ে যায়, নির্যাতিতার হাতে সে রকম দাগ রয়েছে। যে দিন এই ঘটনা ঘটেছিল বলে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সে দিন তিনি যে জামা-কাপড় পরেছিলেন, সেগুলির খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন মোরেনার এসপি অসিত যাদব। নির্যাতিতার বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। তাতে আপত্তি তুলেছেন বলেই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁদের।
যদিও নির্যাতিতার অভিযোগ, স্কুলে পড়ার সময় থেকেই শারীরিক ভাবে তাঁকে নিগ্রহ করে আসছেন বাবা। তাঁর দুই বোনের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মধ্যপ্রদেশ স্কুল শিক্ষা দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।