ফাইল ছবি
২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর দু’টি রাজনৈতিক খুন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেরলের আলাপুঝা জেলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোটা জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দু’টি ঘটনাতেই দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে সাজা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে। বাড়ি ফেরার সময় আলাপুঝার এসডিপিআই নামে একটি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কে এস শান রাস্তায় আক্রান্ত হয়ে পরে রবিবার সকালে হাসপাতালে মারা যান। রাজ্য সরকার ও পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় শানের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েন শান। ওই অবস্থাতেই তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালায় একদল দুষ্কৃতী। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিষিদ্ধ ইসলামি মৌলবাদী সংগঠন পিএফআই-এর রাজনৈতিক দল এসডিপিআই-এর বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব বিজেপি এবং আরএসএস। স্বাভাবিক ভাবেই এই মৃত্যুর পরে আঙুল ওঠে সঙ্ঘ পরিবারের দিকে। তার পরেই রবিবার সকালে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী হানা দেয় আলাপুঝার বিজেপি নেতা রনজিৎ শ্রীনিবাসনের বাড়িতে। বিজেপির ওবিসি মোর্চার নেতা ছিলেন শ্রীনিবাসন। তাঁকে বাড়িতেই পিটিয়ে খুন করে গা ঢাকা দেয় দুষ্কৃতীরা।
পরপর দু’টি রাজনৈতিক খুন ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলাপুঝা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। দু’টি খুনের ঘটনায় জড়িতদের পাকড়াও করতে বিশেষ দল গঠন করেছে কেরল পুলিশ। এসডিপিআই নেতৃত্বের অভিযোগ, কেরলে সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত করতে এবং মুসলিমদের ভয় দেখাতেই তাদের নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করে সঙ্ঘ পরিবার। অনেকেই মনে করছেন, কেরলে সঙ্ঘ পরিবারের জমি শক্ত করতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। পাল্টা অভিযোগে বিজেপি নেতারা বলছেন, ইসলামি মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তের কারণেই খুন হয়েছেন তাঁদের নেতা। পুলিশ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে দোষীদের দ্রুত ধরা যাবে বলে আশাবাদী আলাপুঝা পুলিসের কর্তারা।