উমর খালিদ
বারামুলার লাদুরা গ্রামে সোমবার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয়েছে জইশ ই মহম্মদ কম্যান্ডার উমর খালিদ। শোপিয়ানেও অভিযানে খতম হয়েছে তিন জঙ্গি। বাদগামের দ্রাং এলাকায় সেনার একটি টহলদারি দলের উপরে জঙ্গি হানায় রাজ কুমার নামে এক সেনা অফিসার মারা যান।
এর আগে হিজবুল এবং লস্করের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতাও নিহত হয়েছে সম্প্রতি। আজ জইশ কম্যান্ডার মারা যাওয়াকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে সেনাবাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহও একটি অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিয়েছেন, জঙ্গিদের ব্যাপারে কঠোরতায় কোনও ঢিল দেওয়া হবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ভূস্বর্গে এখন রোজই পাঁচ থেকে ছ’জন জঙ্গিকে খতম করছে বাহিনী।
বস্তুত সাংস্কৃতিক বিনিময় ও গুলি বিনিময়, কাশ্মীরে একই সঙ্গে দুই নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দু’দিন আগে শ্রীনগরে সঙ্গীতানুষ্ঠান করে গায়ক আদনান সামি বলেছিলেন, ‘‘ভূস্বর্গে এসেছি।’’ তখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আস্থার ঘাটতি মেটানোর উপরে জোর দিয়েছিল সরকারও। আর আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইঙ্গিত স্পষ্ট, সাধারণ মানুষের মন জয়ের চেষ্টা মানে সন্ত্রাস দমনে নরম হওয়া নয়।
নজরদার: সিআইএসএফ-এর একটি অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিংহ। সোমবার তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামে। ছবি: পিটিআই
স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী উপত্যকার সমস্যা মেটাতে কাশ্মীরের যুবকদের বুকে জড়িয়ে ধরার বার্তা দিয়েছিলেন। শান্তি ফেরাতে গোপনে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করে কেন্দ্র। কাশ্মীর যান বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় ছ’দিন জম্মু-কাশ্মীরে কাটিয়ে আসেন। বার্তা দেন আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর। তার পরেও এমন কড়া বার্তার পিছনে সঙ্ঘ পরিবারের হাত রয়েছে বলেই জানাচ্ছে বিজেপি শিবির।
কাশ্মীর নিয়ে নরম অবস্থান নেওয়ায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সম্প্রতি ক্ষোভ জানান সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা। বিজেপিকে সতর্ক করে দিয়ে সঙ্ঘ জানায়, কাশ্মীর নীতি থেকে বিচ্যুত হচ্ছে সরকার। বিশেষ করে এমন একটি সময়ে যখন কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সেখানে কাশ্মীর নীতি নিয়ে দুর্বল অবস্থান নেওয়া অর্থহীন। সঙ্ঘ সূত্রে বলা হয়, জম্মুতে যখন নিজেদের জনভিত্তি বাড়াতে সক্রিয় রয়েছে তারা, তখন কাশ্মীরে নরম নীতি নেওয়ার কোনও অর্থ হয় না।