ডোকলাম কাণ্ডের ছায়া মার্কিন রিপোর্টে

ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বাড়লে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে চিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

ডোকলামে সংঘাতের ফলে ভারত-মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে বলে একটি রিপোর্টে মতপ্রকাশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের গবেষণা সংস্থা সিআরএস। তাদের মতে, ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বাড়লে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে চিন।

Advertisement

ডোকলাম নিয়ে সংঘাত মেটার এখনও কোনও লক্ষণ নেই। ১৫ অগস্ট লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ও ধস্তাধস্তিতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন কংগ্রেসের গবেষণা সংস্থার এই রিপোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকেরা। মার্কিন কংগ্রেসের গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘চিন প্রসঙ্গে ভারত-আমেরিকার কৌশলগত বোঝাপড়া আরও বাড়াতে পারে ডোকলাম নিয়ে ক্রমবর্ধমান চাপানউতোর।’’ তাদের মতে, এই সংঘাতের ফলে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি লড়াই হতে পারে।

মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখে মনে হচ্ছে দু’দেশের সংঘাতের নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। ভারত-চিনের ২১৬৭ মাইল দীর্ঘ সীমান্তই শুধু নয়, এর ছাপ পড়বে গোটা দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর তীরবর্তী অঞ্চলগুলোয়।’’

Advertisement

এমন আশঙ্কার কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে রিপোর্টে। সিআরএস-এর এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘‘একের পর এক বিষয়ে ভারতকে রীতিমতো চাপের মুখে ফেলেছে চিন। যেমন, ভারতের পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীর সদস্য হওয়া আটকানোর চেষ্টা করছে বেজিং। পাশাপাশি রয়েছে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরি, রাষ্ট্রপুঞ্জের হাত থেকে পাকিস্তানের সমর্থনপ্রাপ্ত একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে রক্ষা করা, ভারত মহাসাগর তীরবর্তী অঞ্চলে চিনের কৌশলগত উপস্থিতি।’’

ভারতের জবাবের কথাও রয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। তারা জানিয়েছে, মে মাসে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড সামিট’-এ যোগ দেয়নি ভারত। দলাই লামাকে অরুণাচল প্রদেশে ঢুকতে দেওয়া কিংবা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা বাড়া নিয়েও অস্বস্তি রয়েছে বেজিংয়ের।

ডোকলাম নিয়ে ভারত ও চিনকে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু কূটনীতিকদের মতে, চিনের মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে পাশে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement