কুয়াশামগ্ন উত্তর ভারতের একটি রেলস্টেশন। —ছবি: পিটিআই।
তীব্র কুয়াশার কারণে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি। বিমান চলাচলের পাশাপাশি ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে বিপদের মুখে পড়ছেন বহু মানুষ। কুয়াশার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস। ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যেতে পারে উত্তর ভারতের অধিকাংশ রাজ্য। আগামী দু’দিন চলতে পারে শৈত্যপ্রবাহও। বুধবার পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় অতি ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতির জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। বৃহস্পতিবার ওই দুই রাজ্যে কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমেছে।
অতি ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলের অনুকূল পরিবেশ না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থানের উত্তরাংশ এবং মধ্যপ্রদেশের উত্তরাংশ জুড়ে বিমান, রেল এবং সড়কপথে যাতায়াতের অসুবিধা হতে পারে।
বুধবার সকালে দিল্লির দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে ৫০ মিটারে নেমে যায়। এএনআই সূত্রে খবর, কুয়াশার কারণে ২১টি ঘরোয়া বিমান এবং তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। ১৬টি ঘরোয়া বিমান এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক বিমান দিল্লির বিমানবন্দর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেক দেরি করে উড়েছে। মঙ্গলবার ১২০টি বিমান নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেরিতে উড়েছে।