ধানবাদে খনি দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র।
বড়সড় খনি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে। বেআইনি খননের সময় তিনটি জায়গায় খনির চাল (ছাদ) ধসে পড়েছে। তার জেরে বেশ কয়েক জন শ্রমিক চাপা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই অবৈধ খনিগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃতদেহ বার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে শুরু হয়েছে তল্লাশি। এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ধানবাদের নিরসায় কয়েকটি অবৈধ খনিতে ধস নামে। ইসিএলের মুগমা-গোপীনাথপুরের দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়া খনি, ১২ নম্বর বিসিসিএল এবং ইসিএলের খনিতে অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলনের সময় ছাদ ধসে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে এক মহিলা-সহ তিন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহগুলি পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বাকি শ্রমিকদের খনিগর্ভ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিরসার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খনি দুর্ঘটনার জেরে ২০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটা রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা বেআইনি ভাবে খনন করে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ প্রশাসনের অনেকেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত।’’ নিরসার বর্তমান বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্তের কথায়, ‘‘এত বড় দুর্ঘটনা দেখে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি। ইসিএল কী করছে? ওরা অবৈধ খননের বিষয়ে কিছু জানে না? এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’’
নিরসার এসডিপিও পীতাম্বর সিংহ খেরওয়ার বলেন, ‘‘ আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আমরা বৈঠকও করেছি। সব দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনমাফিক তদন্ত হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’ গত ২৬ জানুয়ারি পাণ্ডবেশ্বরে খনি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ জনের। এ বার দুর্ঘটনা ঘটল ধানবাদে।